|
|
|
|
উন্নয়নের দাবিতে সিউড়িতে বিক্ষোভ আদিবাসী গাঁওতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
বিভিন্ন দাবি নিয়ে ফের সরব হলেন বীরভূমের আদিবাসীরা। বুধবার দুপুর ২টো নাগাদ আদিবাসী গাঁওতার নেতৃত্বে সিউড়ি শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার আদিবাসী পুরুষ-মহিলা মিছিল করে প্রথমে জেলা স্কুল মাঠে জমায়েত করেন। সেখান থেকে মিছিল যায় জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে। সেখানে বিক্ষোভ দেখানোর পরে জেলাশাসকের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়। জেলাশাসকের অনুপস্থিতিতে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) কৃষ্ণ মাড্ডি।
আদিবাসী গাঁওতার সম্পাদক রবীন সোরেন ও নেতা সুনীল সোরেন জানান, এ দিন ১৬ দফা দাবি সংলবলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। তাঁদের দাবি, “মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের আওতাধীন জেলাগুলির সমস্ত আদিবাসীকে বিপিএল তালিকাভুক্ত করা হবে। এই জেলা পর্ষদের আওতায় থাকায় এখানকার সব আদিবাসী মানুষকে অবিলম্বে ওই তালিকাভুক্ত করা হোক। পাশাপাশি জেলার সমস্ত আদিবাসী এলাকাকে রাজীব গাঁধী লোকদ্বীপ যোজনার আওতায় এনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার দাবিও জানিয়েছি আমরা।” |
|
ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। |
জেলার পাথর খাদান অঞ্চলে উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণের দাবিও তোলা হয়েছে গাঁওতার তরফে। যেমন, খাদান-ক্রাশার এলাকার রাস্তাঘাট, পানীয় জল, জল নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতি, অবৈধ খাদান-ক্রাশার বন্ধ করা, এলাকার অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য হাসপাতাল তৈরি, শ্রম দফতর নির্ধারিত মজুরি প্রদান প্রভৃতি। গাঁওতা নেতৃত্বের হুঁশিয়ারি, এক মাসের মধ্যে দাবিগুলি পূরণ করা না হলে জেলার সমস্ত পাথর খাদান ও ক্রাশার বন্ধ করে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, আদিবাসী আন্দোলনের জেরে মহম্মদবাজারের বিস্তীর্ণ পাথর খাদান এলাকায় কাজকর্ম স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গত বছর। পরে আদিবাসীদের দাবিমতো প্রশাসনিক নিয়মনীতি মেনে কয়েকটি খাদান ও ক্রাশার ফের চালু হয়েছে। এই অবস্থায় আদিবাসী গাঁওতার এ দিনের হুঁশিয়ারি জেলা প্রশাসনকে নতুন করে চিন্তায় ফেলেছে।অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) বলেন, “স্মারকলিপি পেয়েছি। জেলাস্তরের দাবিগুলি জেলা প্রশাসন খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে। আর যে-সব দাবি জেলাস্তরের নয়, সেগুলি সংশ্লিষ্ট দফতর বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিবেচনার জন্য পাঠানো হবে।” |
|
|
|
|
|