সোনার দুলের লোভে একটি শিশুকে গলা টিপে খুন করার অভিযোগ উঠল দশ বছরের এক বালকের বিরুদ্ধে। এর পরে তাকেও পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে মৃত শিশুর মা-র বিরুদ্ধে। সকলেরই বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থানার কালনাগিন এলাকাতে। সোমবার দুপুরে সেখানেই এই ঘটনার পরে ওই শিশুর মা বালিকা সরকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মৃত শিশুটির নাম বিনোদ সরকার (৫)। তাকে খুন করার অভিযোগ ওঠে কুমারেশ বিশ্বাস (১০) নামে এক বালকের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার বিকাল থেকেই বিনোদ নিখোঁজ ছিল। এদিন কুমারেশ তার সোনার দুল বিক্রি করতে গেলে এলাকার এক সোনার দোকানদারের সন্দেহ হয়। তাকে জেরা করে জানা যায় যে বিনোদকে খুন করা হয়েছে। পরে বিনোদের দেহটিও উদ্ধার হয়। এর পরে বিনোদের মা কুমারেশকে মারধর করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ইসলামপুরের এসডিপিও সুবিমল পাল বলেন, “একটি সোনার দুলকে ঘিরে ঘটনাটি ঘটেছে। এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
এলাকা ও পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যায় বিনোদ বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজ শুরু করেন। এদিন সকালে সোনার দোকান থেকে বিষয়টি চাউর হয়। মৃতের পরিবারের দাবি, কুমারেশকে টাকার লোভ দেখালে সে ঘটনাটি স্বীকার করে নেয়। এলাকার ধলেঞ্চা নদীর চর থেকে বালি খুঁড়ে দেহটি উদ্ধার করেন এলাকার বাসিন্দারা। ছেলেকে ওই ভাবে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সহ্য করতে পারেনি বিনোদের মা বালিকাদেবী। লাঠি দিয়েই বেপরোয়া ভাবে তিনি কুমারেশকে মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ। এলাকার লোক তাঁকে ঠেকানোর আগেই মারের চোটে প্রাণ হারায় ওই বালক।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানাচ্ছে, বিনোদের কানে ওই সোনার দুলটি ছিল। প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে কুমারেশ বিনোদের সঙ্গে খেলাখুলো করত। পুলিশের সন্দেহ, কুমারেশ নেশাসক্ত ছিল, সে কারণেই সে বিনোদের দুল চুরি করতে চেয়েছিল।
তবে একটি ১০ বছরের ছেলের পক্ষে ৫ বছরের শিশুকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার পিছনে আরও কেউ জড়িত কি না, তা তদন্তকারী অফিসারেরা খতিয়ে দেখছেন। |