এক আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল তিন যুবককে। সোমবার ভোরে শিলিগুড়ির প্রধাননগর থানার দাগাপুরের ট্রাক স্ট্যান্ডের কাছে একটি অসমাপ্ত গুদামে ওই নাবালিকাকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এক চৌকিদার। তিনি ও তাঁর স্ত্রী ওই নাবালিকাকে জামাকাপড় পরিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে তুলে দেন। ওই সংস্থা পুলিশকে জানিয়ে কিশোরীকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ওই নাবালিকা এখনও পুরোপুরি সুস্থ নয়।
অভিযুক্তদের নাম মধুসূদন কার্কি, কুন্দন রাই ও পিঙ্গল লামা। তাদের সকলেরই বাড়ি কালিম্পঙে। ধৃতদের শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে সরকারি আইনজীবী সুদীপ রায় বাসুনিয়া তাদের জামিনের বিরোধিতা করেন। ধৃতদের ৫ দিনের জন্য পুলিশ হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক। এর পুলিশ ধৃতদের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, পিতৃমাতৃহীন ওই নাবালিকার বাড়ি ডুয়ার্সের ডামডিমে। ছোট থেকেই সে কালিম্পঙে একটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে। সম্প্রতি মনোমালিন্য হওয়ায় কাজ ছাড়ার কথা ভাবছিল। রবিবার দুপুরে সে ওই বাড়ি ছেড়ে হেঁটে শিলিগুড়ির দিকে রওনা হয়। চিত্রে এলাকায় পৌঁছনোর পরে সন্ধ্যে নামে। তখন সে কালিম্পঙে ফেরার জন্য একটি ট্রাকে ওঠে। ট্রাক চালক মধুসূদন তাকে শিলিগুড়িতে ভাল কাজ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দেয়। তারপরে গাড়ি ঘুরিয়ে মধুসূদন শিলিগুড়ির দিকে রওনা হয়। পথে সে মোবাইলে ফোন করে দুই সঙ্গীকেও ডাকে। সকলে তিস্তা বাজারের কাছে খাওয়া-দাওয়াও করে। সেখানে নাবালিকাকে জবরদস্তি মদ খাওয়ানো হয় বলেও অভিযোগ। নাবালিকা আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে তাকে শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে দাগাপুরের ওই গুদামে নিয়ে গিয়ে তিন জন ধর্ষণ করে পালায়।
ভোরে এলাকার চৌকিদার কিশোরীকে দেখে তাঁর স্ত্রীকে ডেকে আনেন। খবর দেন পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে। পুলিশ জানায়, নাবালিকার জ্ঞান ফিরলে মধুসূদনের কথা জানায়। সেই মতো পুলিশ সকলকেই ধরে। |