বাংলার দুই দাবাড়ু সায়ন্তন দাস আর দীপ্তায়ন ঘোষের হাত ধরে পাঁচ বছর পর বিশ্ব যুব দাবা অলিম্পিয়াডে সোনা জিতল ভারত। চিনের চং কিং-এ শেষ রাউন্ডে ভারত ৩.৫-০.৫ পয়েন্টে হারায় ইরানকে। এর আগে ২০০৭ আর ২০০৮-এ ভারত বিশ্ব যুব অলিম্পিয়াডে সোনা জিতেছিল।
টিম ইভেন্টের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ইভেন্টেও সায়ন্তন (৭.৫ পয়েন্ট) ও দীপ্তায়ন (৮.৫ পয়েন্ট) দু’জনেই চ্যাম্পিয়ন। আন্তর্জাতিক কোনও টুর্নামেন্টে বাংলা থেকে এক সঙ্গে দুই দাবাড়ুর টিম ইভেন্ট আর ব্যক্তিগত ইভেন্টে এ ভাবে সোনা জেতার নজির বিরল। ভারতের বাকি দুই দাবাড়ু শর্দুল গাগরে (৬) আর মুরলী কার্তিকেয়ন (৬.৫) জেতে ব্রোঞ্জ। |
আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলার দুই চ্যাম্পিয়ন দীপ্তায়ন ও সায়ন্তন। |
পাঁচ বছর আগে ভিয়েতনামে বিশ্ব যুব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জেতা সায়ন্তন চিনে শুরু থেকেই দুরন্ত ফর্মে ছিল। বিশ্ব যুব দাবায় এই টুর্নামেন্টকে এমনিতেই খুব কঠিন বলে ধরা হয়। তার উপর এ বার শীর্ষবাছাই রাশিয়া আর চিনের মতো দেশ থেকে শক্তিশালী দাবাড়ুরা অংশ নিয়েছিল। সায়ন্তনরা বাছাইদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও ব্যক্তিগত বোর্ড ইভেন্টে কাউকে দাঁড়াতে দেয়নি। অপরাজিত থাকার রেকর্ড নিয়েই ব্যক্তিগত সোনা জেতে বাংলার দুই উঠতি চ্যাম্পিয়ন। অনূর্ধ্ব-১০ জাতীয় চ্যাম্পিয়ন সায়ন্তন ন’রাউন্ডের মধ্যে ৬টা জয় ৩টে ড্র করে একই সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার খেতাবও নিশ্চিত করে ফেলল। ২০০৮ সালের অনূর্ধ্ব-১০ এশিয়া চ্যাম্পিয়ন এবং আইএম দীপ্তায়ন ১০ রাউন্ডের মধ্যে জেতে ৭টা ড্র করে তিনটে রাউন্ডে। |