নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঢুকেছিল চোর। কিন্তু চুরির মাঝপথে হঠাৎ গৃহকর্ত্রী বেল বাজাতেই চক্ষু চড়কগাছ। এর পরেই দরজা খুলে গৃহকর্ত্রীকেই হাত ধরে ভিতরে এনে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে পালাল চোর। নিয়ে গেল কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না। সোমবার, ঘটনাটি ঘটেছে শিবপুর থানা এলাকার একটি আবাসনে।
পুলিশ জানায়, জি টি রোড সংলগ্ন ওই আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন অনিল শর্মা এবং তাঁর স্ত্রী নীলা শর্মা। অনিলবাবুর পরিবহণের ব্যবসা। সকালে অনিলবাবু কাজে বেরোনোর পরে নীলাদেবী মন্দিরে যান। নীলাদেবী পুলিশকে জানান, তিনি প্রতি সোমবার ওই সময়ে মন্দিরে যান।
পুলিশ জানিয়েছে, নীলাদেবী বেরোনোর পরেই চোর ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে ঢোকে। কিছু পরেই নীলাদেবী ফিরে দেখেন, ফ্ল্যাটের তালা খোলা। কিন্তু দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। তবে তিনি লক্ষ করেননি যে তালা ভাঙা অবস্থায় নীচে পড়ে। স্বামী ফিরে এসেছেন ভেবে কলিং বেল বাজান তিনি। দরজা খুলতেই দেখেন, অপরিচিত এক জন দাঁড়িয়ে। নীলাদেবী তাকে জাপটে ধরে আটকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু চোর তাঁকে ঝটকা মেরে ঘরের ভিতরে ফেলে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে পালায়।
নীলাদেবী ফ্ল্যাটে ঢুকে দেখেন, সব ক’টি আলমারির তালা ভাঙা। ভিতরের জিনিসপত্র তছনছ। উধাও কয়েক লক্ষ টাকার গয়না। বাইরে থেকে দরজা বন্ধ থাকায় তিনি ফোন করেন স্বামীকে। অনিলবাবু এসে দরজা খুলে স্ত্রীকে উদ্ধার করেন। খবর দেন পুলিশেও।
এ দিকে, দিনেদুপুরে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, দিন সাতেক আগে ওই এলাকার শান্তা সিংহ মোড়ের একটি ফ্ল্যাটে একই কায়দায় টাকা-সহ প্রায় ৮ লক্ষ টাকার গয়না চুরি হয়েছে। তার কিনারা হয়নি। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশের অনুমান, পরিকল্পনা করেই ওই দুষ্কৃতী এসেছিল। হাওড়ার ডিসি (সদর) নিশাত পারভেজ বলেন, “কিছু দিন আগেই ওই ফ্ল্যাটে রাজমিস্ত্রি কাজ করে গিয়েছে। তারা যুক্ত কি না, দেখছি।” |