বাস ও লরির ধাক্কা, মৃত দুই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
লরির সঙ্গে বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল দুই বাসযাত্রীর। জখম অন্তত ১০ জন। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ডোমজুড়ে, সলপ উড়ালপুলের নীচে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিশের অভিযোগ, বাসটি উড়ালপুলের নীচে দাঁড়িয়ে বেআইনি ভাবে যাত্রী তোলার সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে। মৃতদের নাম জাভেদ আখতার (২৩) এবং সুরজিৎ কয়াল (২১)। জাভেদের বাড়ি কাশীপুরে। সুরজিৎ জগাছার বিবেকানন্দ পল্লির বাসিন্দা। আহতদের চার জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেলা হাসপাতালে ও বাকিদের বিভিন্ন নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, পাঁচলা থেকে ডানলপের দিকে আসছিল ৮৯ নম্বর রুটের বেসরকারি বাসটি। |
দুর্ঘটনার পরে। সোমবার, সলপে। —নিজস্ব চিত্র |
অভিযোগ, সলপ উড়ালপুলের নীচে বেআইনি ভাবে যাত্রী তুলছিল সেটি। তখন বালিগামী একটি লরি তীব্র গতিতে পিছন থেকে এসে তাতে ধাক্কা মারে। ধাক্কার তীব্রতা এতটাই ছিল যে, লরিটির সামনের অংশ বাসের পিছনে ঢুকে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সামনে থাকা একটি টাটা সুমোতে ধাক্কা মারে। দু’বার ডিগবাজি খেয়ে উল্টে যায় টাটা সুমো। জখম হন চালক। জখম এক বাসযাত্রী রবিন সামন্ত বলেন, “আমি ডানলপ যাচ্ছিলাম। ছিলাম বাসের পিছন দিকে। সলপ উড়ালপুলের নীচে আচমকা বিকট শব্দ। তার পরে কিছু মনে নেই।” একই বক্তব্য জখম শম্পা সাধুখাঁ, মোক্তার মল্লিকদের। কারও হাত-পা ভেঙেছে, কারও মাথা ফেটেছে।
দুর্ঘটনার পরে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা পথ অবরোধ করেন। তাঁদের অভিযোগ, উড়ালপুলের নীচে ওই জায়গায় ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় প্রতিদিনই বেআইনি ভাবে বাসে যাত্রী তোলা হয়। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক অবরোধ চলার পরে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সুখেন্দু হীরা বলেন, “ওই জায়গায় ট্রাফিক পুলিশ না থাকার অভিযোগ ঠিক নয়। তবে উড়ালপুলের নীচে কোনও বাসস্টপ নেই। তা সত্ত্বেও বাসটি ওখানে দাঁড়িয়ে কেন বেআইনি ভাবে যাত্রী তুলছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পরে লরির চালক-খালাসি এবং বাসের চালক-কন্ডাক্টরেরা সবাই পালায় যায়। তাদের খোঁজ চলছে।” |