বামেদের দখলে ২ গ্রাম পঞ্চায়েত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডোমজুড় |
জেলায় তৃণমূলের আধিপত্য মোটের উপর স্পষ্ট, তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে দল কিছুটা ধাক্কা খেল ডোমজুড়ে। মাকড়দহ ১ গ্রাম পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিল সিপিএম, দখলে রাখল আরও এক গ্রাম পঞ্চায়েত।
তৃণমূল নেতারা অবশ্য এই হারকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলের চাইতে এ বছর সামগ্রিক ভাবে ডোমজুড় ব্লকে তৃণমূলের ফল ভাল। দখলে এসেছে কোলড়া-১, বাঁকড়া-১, বাঁকড়া-২, রুদ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মতো এলাকা, যেগুলো এক সময়ে লালদুর্গ ছিল। হাতছাড়া হয়েছে মাকড়দহ-১ পঞ্চায়েত। বহু পঞ্চায়েতের বুথে কমেছে জয়ের ফারাক। কমেছে আসনের সংখ্যাও। |
এই বেশ...। ডোমজুড়ে স্বস্তি সিপিএমের। ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়। |
ডোমজুড় ব্লকের পঞ্চায়েতগুলির গণনা হয় ডোমজুড় আজাদ হিন্দ ফৌজ মহাবিদ্যালয়ে। গণনাকেন্দ্রে নিরাপত্তা ছিল কঠোর, ২০০ মিটারের মধ্যে জারি ছিল ১৪৪ ধারাও। সকাল থেকেই গণনাকেন্দ্রের আশেপাশে তৃণমূল সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তুলনায় ম্রিয়মান ছিলেন সিপিএম সমর্থকেরা। ফল ঘোষণা হতে শুরু করার পরে নানা জায়গা থেকে জোড়াফুল প্রার্থীদের জয়ের খবর আসতে থাকে। তৃণমূল শিবিরে ছড়িয়ে পড়ে উচ্ছ্বাস। কিন্তু সেই উচ্ছ্বাস বেশি স্থায়ী হয়নি। ৯-৮ ব্যবধানে মাকড়দহ-১ পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নেয় সিপিএম। মহিয়াড়ি ১ পঞ্চায়েত ও মহিয়াড়ি ২ পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু হয়। সিপিএম ধরে রেখেছে বাঁকড়া-৩। কঠিন লড়াই হয়েছে দক্ষিণ ঝাঁপড়দহ গ্রাম পঞ্চায়েতে। এখানে তৃণমূল ও সিপিএম উভয়েই ৮টি করে আসন পেয়েছে। একটি আসন জিতেছেন নির্দল প্রার্থী। তবে সূত্রের খবর, ওই নির্দল প্রার্থী তৃণমূলকে সমর্থন করবেন।
ডোমজুড় ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েত আসনগুলির মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে নারনা গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই পঞ্চায়েতটিতে ১৪টি আসন পেয়েছে তৃণমূল। সিপিএম ৪টি। কিন্তু দফরপুর গ্রামের একটি বুথে ওই পঞ্চায়েতের তৃণমূলের বিদায়ী উপপ্রধান সৌরভ চট্টোপাধ্যায় হেরেছেন ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলেরই বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ প্রভাস ঘোষের কাছে। প্রভাসবাবু টিকিট না পেয়ে আম চিহ্নে দাঁড়িয়েছিলেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, স্থানীয় বিধায়ক ও মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘স্নেহধন্য’ হলেন পরাজিত সৌরভবাবু। প্রভাসবাবু বলেন, “এ বারে নারনা অঞ্চলে প্রায় সব বুথেই তৃণমূলের লিড কমেছে। দল আমাকে সম্মান দিয়ে ডাকলে তৃণমূলেই ফিরব। না হলে নির্দল হিসেবেই কাজ করব।” যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার কেন্দ্রের প্রায় সব বুথেই তৃণমূলের ফল ভাল হয়েছে। নারনার ঘটনাটি বিছিন্ন। ওই বুথে সিপিএম কোনও প্রার্থী দেয়নি। সিপিএমের সঙ্গে আঁতাত করেই জিতেছেন ওই প্রার্থী। |