|
|
|
|
১০০ কোটিতেই সাংসদ, মন্তব্য কংগ্রেস নেতার |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
ফের বিতর্কিত মন্তব্য এক কংগ্রেস নেতার। এ বার বক্তা চৌধুরী বীরেন্দ্র সিংহ। গত কাল হরিয়ানার জীন্দে এক সমাবেশে তিনি বলেন, এমন লোকজন রয়েছেন, যাঁরা রাজ্যসভার আসন পেতে ১০০ কোটি টাকা খরচ করতেও পিছপা হন না। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই অবশ্য ফিরিয়েও নিয়েছেন সে কথা। বলেছেন, তাঁর কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
|
বীরেন্দ্র সিংহ |
গত সপ্তাহটা মোটামুটি বিতর্কের উপরেই রেখেছিলেন ইউপিএ-র তিন নেতা। রাজ বব্বর, রশিদ মাসুদ, ফারুক আবদুল্লা। প্রথম দু’জন কংগ্রেসের। তৃতীয় জন শরিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের। রাজ বব্বর বলেছিলেন ১২ টাকায় মুম্বইয়ে ভরপেট খাবার মেলে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় জন টাকার অঙ্কটা আরও কমান। শাসক দলের নেতাদের এ হেন মন্তব্যে দেশ জুড়ে সমলোচনার ঝড় উঠে। দলের লোকেদের সতর্ক করে দিয়ে রাহুল বলেন, বেফাঁস মন্তব্য করা বন্ধ করুন। তবে সাবধানবাণীতে যে কাজ হয়নি, প্রমাণ করে দিলেন চৌধুরী বীরেন্দ্র সিংহ। নেতারা গরিবদের কথা ভাবেন না, এই বলে দুঃখপ্রকাশ করতে গিয়ে গত কাল জীন্দের এক সমাবেশে বীরেন্দ্র বলেন, “আমাকে এক জন গল্প করেছিলেন, রাজ্যসভার সদস্য হতে ওই ব্যক্তি মোটামুটি ১০০ কোটি বাজেট রেখেছেন। পরে তিনি হিসেব করে দেখেন, ৮০ কোটি খরচ হয়েছে। তাঁর ২০ কোটি টাকা বেঁচে যায়।” এখানেই থামেননি বীরেন্দ্র। বলেন, “এ বার ভেবে দেখুন, যে লোকটা ৮০ থেকে ১০০ কোটি খরচ করে রাজ্যসভার সদস্য হয়, দারিদ্র তাঁর কাছে কী।”
বরাবরের মতো বীরেন্দ্রর এ হেন মন্তব্য লুফে নিয়েছে বিজেপি। তারা বলে, এ ধরনের টাকা দিয়ে আসন কেনা, রাজনীতিকে টেনে নীচে নামানো কংগ্রেসের অভ্যেস হয়ে গিয়েছে। বীরেন্দ্র জানান, তাঁর কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বলেছেন, “রাজনীতিতে নতুন ধরনের লোক দেখা যাচ্ছে...। অনেকেরই অনেক টাকার জোর...। তাঁরা লোকসভা আর রাজ্যসভায় আসছেন।” জানান, যা বলেছেন, ২০০৯ সালের খবরের কাগজ দেখে বলেছেন। সে বার লোকসভা ভোটের পর কাগজে কোটিপতি নেতাদের তালিকা বেরিয়েছিল। |
|
|
|
|
|