সমুদ্রসৈকতে জনসমুদ্র। এক ফালি চাঁদের মতো দেখতে রিও-র কোপাকাবানা সৈকত থিকথিক করছিল ৩০ লক্ষ মাথার ভিড়ে। কারণ পোপ এসেছেন শহরে। লাতিন আমেরিকা থেকে তিনিই যে প্রথম ভ্যাটিকান জয় করেছেন।
রবিবার, ২৮ জুলাই আবার ‘বিশ্ব যুব দিবস’ ছিল। সেই উপলক্ষেও সমুদ্রের তীরে নাচ-গান উৎসবের আয়োজন হয়েছিল। তবে উৎসবের চেনা ছবিটা বদলে দিয়েছিল পোপ ফ্রান্সিসের উপস্থিতি। আর তাঁর আসার খবর শুনেই বিকিনি পরিহিতাদের ভিড়ে মিশে গেলেন সন্ন্যাসিনী-বিশপরাও। |
সমুদ্রতীরে সন্ন্যাসিনীদের সঙ্গে তরুণীর দল। ছবি: এপি। |
বিকিনি পরনে একদল তরুণী জলে নেমে হুটোপাটি করছিলেন। ব্রাজিলের সৈকতে, এমন কিছু নতুন দৃশ্য নয়। কিন্তু পরের দৃশ্যটা অভিনব। জুতো হাতে নিয়ে জলে নেমে পড়লেন সন্ন্যাসিনীরাও।
ভিড়ের হাবভাব দেখেশুনে খানিক ঘাবড়ে গিয়েছিলেন পোপের দেহরক্ষীরা। কেউ নাচছেন, গান গাইছেন। ছবি তুলছেন। ক্যামেরা দেখা গেল এক বিশপের হাতেও। গাড়িতে দাঁড়িয়ে পোপ ফ্রান্সিস। হাত নাড়ছেন ভিড়ের দিকে তাকিয়ে। কখনও বা জড়িয়ে ধরছেন ছোটদের, চুমু খাচ্ছেন। আর ইস্পাত কঠিন মুখ করে চারদিকে নজর রাখছিলেন দেহরক্ষীরা। তবে বেশিক্ষণ নয়। লোকের উৎসাহ দেখে হেসে ফেললেন তাঁরা।
ফুটবল-পাগল দেশটাকে উৎসাহ দিলেন পোপও। আর ব্রাজিল বলল, “বিচ-টা আরও একটু বড় হলে ভাল হতো।” |