কংগ্রেসের পাণ্ডবেশ্বর ব্লক সভাপতি গোপীনাথ নাগের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মারধর করা হয় তাঁদের দলীয় কর্মী-সমর্থকদেরও, সোমবার এমনই দাবি করেন গোপীনাথবাবু। তাঁদের বর্ধমান জেলা (শিল্পাঞ্চল) কমিটির সদস্য গৌতম দেব এবং তাঁদের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী আরতি মণ্ডলের ছেলে স্বর্ণেন্দু মণ্ডলকে মারধর করা হয়। তিনি তখন বাধা দিতে গেলে তৃণমূল সমর্থকরা তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করে। গোপীনাথবাবু জানান, সোমবার প্রথম রাউন্ডের ভোট গণনার পর তাঁদের দলের গণনাকর্মীরা বাইরে বেরিয়ে আসে। দ্বিতীয় রাউন্ডে গণনাকর্মীরা যখন ঢুকবেন, তাঁদের বাধা দেয় তৃণমূল সমর্থকরা। পুলিশের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নরেন চক্রবর্তী জানান, ভোটের ফলে প্রথম রাউন্ড থেকেই হারছে বুঝতে পেরে ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। বিডিও এবং পর্যবেক্ষকের কাছে তাঁরা লিখিত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। বিডিও জানিয়েছেন, বিষয়টি পুলিশকে দেখতে বলা হয়েছে।
|
ভেঙেছে গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন বিকেলে রানিগঞ্জের বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলুনিয়া গ্রামের সিপিএমের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর, পতাকা ও আসবাবপত্র আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আসানসোলের সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরি জানান, মনোনয়ন দাখিলের দিন থেকে সন্ত্রাস শুরু হয়েছে। গণনার পরেও তা অব্যাহত থাকবে। এ দিন দলীয় কার্যালয়ে তাণ্ডব চালানোতেই তা পরিস্কার। তারা এই ঘটনার পর রানিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তৃণমূলের রানিগঞ্জ ব্লক সভাপতি সেনাপতি মণ্ডল বলেন, “এটা ওদের দলীয় অর্ন্তদ্বন্দ্বের ব্যাপার। আমাদের কিছু করার নেই।” পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।
সিপিএমের দামোদর জোনাল কমিটির সম্পাদক তুফান মণ্ডলের দাবি, পাণ্ডবেশ্বরের জেলা পরিষদের গণনা শুরু হওয়ার আগে তাঁদের দলের গণনাকর্মীদের মেরে বের করে দিয়েছে তৃণমূল সমর্থকরা। তাঁরা বিষয়টি বিডিও-র কাছে জানিয়েছেন।
পাণ্ডবেশ্বরের সিপিআইএমএল নেতা সাধন দাসের বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূল তা অস্বীকার করেছে। |