স্বপন দেবনাথকেও ছাপিয়ে গেলেন তাঁর স্ত্রী! মন্ত্রীর বউ বলে কথা! তাই প্রথম থেকেই সচেতন ছিলেন নীলিমা দেবনাথ। ফলও মিলল হাতেনাতে। পূর্বস্থলী ১ ব্লকের শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের ছোটকোবলা বুথে সিপিএম, তৃণমূল ও বিজেপির ত্রিমুখী লড়াইয়ের পরে নীলিমাদেবীর জয়ের ব্যবধান ৪৩৯ ভোট। যা ওই বুথে এখনও পর্যন্ত রেকর্ড। ঘরের কাজ সামলে প্রথম বার ভোটের লড়াইতে নেমেই আর এক কাণ্ড করেছেন নীলিমা দেবনাথ। নিজের অজান্তেই হারিয়ে দিয়েছেন নিজের অমন ডাকাবুকো স্বামীকেও। গত বিধানসভা ভোটে ওই বুথ থেকে স্বপন দেবনাথের ‘লিড’ ছিল ৩৯০ ভোটের। স্বামীর থেকেও বেশি ভোট পেয়েছেন, শুনে অবশ্য জিভ কাটছেন নীলিমাদেবী।
|
কালনায় কংগ্রেসের অবস্থা যেন শেষ সময়ের জমিদারবাড়ির মতো! কালনার একে একে যখন সব জায়গায় ঘাসফুল ফুটছে তখন নান্দাই পঞ্চায়েতেই অটুট ছিল হাতের ছাপ। কিন্তু এ বার গেল সেটাও। সব মিলিয়ে ওই পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের দখলে এসেছে মাত্র দু’টি আসন। তা-ও একটি লটারিতে। ওই পঞ্চায়েতের দুর্গাপুর গ্রামে গণনার পরে দেখা যায়, সিপিএম ও কংগ্রেস প্রার্থী দু’জনেই পেয়েছেন ২৭৪টি করে ভোট। ঠিক হয় লটারি করে ঠিক হবে হার জিত। ফেলা হয় একটি চিরকূট। সিপিএম প্রার্থী সেই চিরকূট তুলে দেখেন লেখা আছে ‘পরাজিত’। খবর কানে যায় কালনা ১ ব্লকের কংগ্রেস সভাপতি সুশীল পাখিরার। দীর্ঘশ্বাস ফেলে সুশীলবাবু বলে ওঠেন, “লটারিতে একটু হলেও মুখরক্ষা হল।”
|
দু’টি পঞ্চায়েত সমিতির গণনায় কারচুপি করে শাসকদলকে জিতিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করল সিপিএম। দলের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা বর্ধমান জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অচিন্ত্য মল্লিকের অভিযোগ, “কেতুগ্রাম ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে রীতিমতো নির্বাচন কমিশনকে ১২টি আসনে জয়ী ঘোষণা করেছিল। হঠাৎ সিপিএমের দু’টি আসন কমিয়ে দেওয়া হয়। একইভাবে কাটোয়া ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে ১১টি আসনে সিপিএম জয়ী হয়েছিল। কিন্তু একটি আসন বিরোধীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।” যদিও নির্বাচন কমিশন ওই অভিযোগ মানতে চায়নি। ফলে ওই দুটি পঞ্চায়েত সমিতি ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়ে গিয়েছে।
|
নিহত সিপিএম নেতা ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়ের গ্রাম ধান্যরুখীতে পঞ্চায়েত আসনটি নিজেদের দখলে রাখল সিপিএম। মঙ্গলকোটের ভাল্যগ্রাম পঞ্চায়েতের ওই আসনে সিপিএমের হয়ে দাঁড়িয়েছিল বিরাজ রায়চৌধুরী। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় খুনে অন্যতম অভিযুক্ত কংগ্রেসের অমর পাল। ৪৪ ভোটে হেরে গিয়েছেন অমরবাবু। জয়ের পরে বিরাজবাবু জানান, “ফাল্গুনীদার আর্শীবাদেই এই জয়।”
|
রাখে কপাল মারে কে! পাক্কা এক ভোটে জামুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির একটি আসনে জয়লাভ করলেন তৃণমূলের এক প্রার্থী। ওই পঞ্চায়েত সমিতির চুরুলিয়া কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী চৈতালী মুখোপাধ্যায় পেয়েছেন ১২৪৭টি ভোট। আর সিপিএম প্রার্থী পাপিয়া কাজি পেয়েছেন ১২৪৬টি ভোট। জয়ের পর চৈতালীদেবীর দাবি, “জয়টাই আসল। ব্যবধানটা বড় নয়।” বিরসমুখে পাপিয়া কাজির আক্ষেপ, “ভাগ্যের কাছেই হেরে গেলাম!” |