হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেলেন দক্ষিণ দিনাজপুর সিপিএমের জেলা সম্পাদক মানবেশ চৌধুরী ও প্রাক্তন মন্ত্রী নারায়ণ বিশ্বাস। একটি ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতারি এড়াতে ওই দুজন সিপিএমে নেতা প্রায় ২৫ দিন ধরে আত্মগোপন করেছিলেন। ভোটের মুখে জেলা সিপিএমের দুই প্রধান কর্ণধার আত্মগোপন করে থাকায় নিচু তলার কর্মীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতি অসীম মণ্ডল, জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ ওই দুই নেতার আগাম জামিন মঞ্জুর করেন। আগাম জামিনের খবর রাতে জেলায় পৌঁছয়। এর পরই তাঁরা জনসমক্ষে হাজির হন।
মঙ্গলবার বালুরঘাটে দলের জেলা কার্যালয়ে সিপিএম জেলা সম্পাদক মানবেশবাবু বলেন, “পুলিশ-প্রশাসন এবং তৃণমূলের সর্বোচ্চ জায়গা থেকে ষড়যন্ত্র করে আমাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়। কমরেডদের জেলে যেতে হয়েছে। আমাদেরও কিছু দিন প্রকাশ্য কাজকর্ম থেকে সরে থাকতে হয়েছে। ভোট প্রক্রিয়া থেকে দূরে সরিয়ে পার্টিকে অভিভাবকহীন করার যে চক্রান্ত হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত তাতে দলের কোনও ক্ষতি হয়নি।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, “ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইন মেনেই পুলিশ কাজ করেছে।” প্রশাসনকে ব্যবহার করে এতদিন তো সিপিএমই ষড়যন্ত্র করেছে বলে তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন।
গত বছর সেপ্টেম্বরে গঙ্গারামপুরের দমদমা সমবায় ভোটকে কেন্দ্র করে গোলমালে পুলিশের উপর হামলা, জিপ ভাঙচুরের মতো একাধিক ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত সিপিএমের জেলা সম্পাদক এবং প্রাক্তন মন্ত্রী সহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দায়ের করে। ২১ জুন সকালে ফেরার মানবেশ ও নারায়ণবাবুদের গ্রেফতার করতে পুলিশ বাড়িতে হানা দেয়। গঙ্গারামপুরের জোনাল পার্টি অফিসে অভিযান চালিয়ে পুলিশ পুরসভার সিপিএমের চেয়ারম্যান সুবল বসাক, জোনাল সম্পাদক বলরাম ঘোষ ও জেলা নেতা অচিন্ত্য চক্রবর্তীকে ধরে। বর্তমানে সুবলবাবু ও বলরামবাবু মহকুমা আদালতের নির্দেশে জামিনে মুক্ত। জেলা নেতা অচিন্ত্যবাবু বেআইনি আগ্রেয়াস্ত্র মামলায় জড়িয়ে যাওয়ায় তিনি জেলবন্দি। গণতান্ত্রিক আইনজীবী সঙ্ঘের জেলা সভাপতি শিবতোষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অচিন্ত্যবাবু দুটি মামলায় জামিন পেলেও আরও দুটি মামলায় জেল হেফাজতে। মামলা দুটির শুনানি আগামী ১৯ জুলাই।”
|