প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার পথে আরএসপির জেলা পরিষদের প্রার্থীকে লক্ষ করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। আরএসপির দাবি, অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছেন বৈষ্ণবনগরের (৩৭ নম্বর আসন) জেলা পরিষদের আরএসপি প্রার্থী ধনঞ্জয় সরকার। দুষ্কৃতীর ছোড়া দুটি গুলি তাঁর গাড়িতে লেগেছে। অভিযোগের তির কংগ্রেসের দিকে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বৈষ্ণবনগর থানার সারদহ মোড়ে ঘটনাটি ঘটেছে। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “নালিশ পাওয়ার পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন আরএসপি প্রার্থী ধনঞ্জয়বাবু চরি অনন্তপুরের প্রচার সেরে নিজের গাড়ি করে চার জন দলীয় কর্মীর সঙ্গে বৈষ্ণবনগরে ফিরছিলেন। সারদহ মোড়ের কাছে হঠাৎ তিন-চার জন দুষ্কৃতী তাঁর গাড়ি লক্ষ করে গুলি চালাতে থাকে। দুটি গুলি তাঁর গাড়িতে লাগে। গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেন তাঁরা। আরএসপির জেলা সম্পাদক গৌতম গুপ্ত বলেন, “হার নিশ্চিত বুঝতে পেরে কংগ্রেস মদত পুষ্ট দুষ্কৃতীরা আমাদের দলের প্রার্থীর উপর হামলা চালিয়েছে। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আমরা থানায় অভিযোগ জানাচ্ছি।”
এলাকার কংগ্রেস বিধায়ক ঈশা খান চৌধুরী বলেন, “তৃণমূলে গুন্ডারা বাবার উপর হামলা করেছে। অল্পের জন্য বাবা বেঁচে গিয়েছেন। আমাদের কেউ কোনও হামলার সঙ্গে যুক্ত নয়। আমাদের প্রার্থী জিতবেন। তা হলে আমরা হামলা চালাতে যাব কেন? নিশ্চিত হার বুঝতে পেরে হামলার গল্প সাজিয়ে ভোটের আগে সহানুভূতি আদায় করতে চাইছে আরএসপি।”
সিপিএমের বিরুদ্ধে কালচিনির বিধায়ক উইলসন চম্প্রামারি ও তৃণমূল কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ার ২ ব্লক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক বাপ্পা মজুমদারের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার শামুকতলার মহাকালগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের খড়িয়া বস্তি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার খবর পেয়ে কয়েকশো তৃণমূল কর্মী ঘটনাস্থলে যান। এদিন উইলসনবাবু খড়িয়াবস্তিতে যান। ওই সময় সিপিএমের কয়েকজন কর্মী তার উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “চার জনের নামে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
|