টুকরো খবর |
স্তম্ভে মাথা ঠুকে মৃত মনোরোগী
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
বাটাম দিয়ে প্রতিবেশী এক মহিলার মাথা ফাটিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের। মঙ্গলবার সকালে রায়গঞ্জ থানার দক্ষিণ উদয়পুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম উত্তম শীল (৩৫)। ওই এলাকাতেই তাঁর বাড়ি। এদিন সুমিত্রা মন্ডল নামে এক মহিলার মাথায় কাঠের বাটাম দিয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ। সুমিত্রাদেবী সেই সময় গাছ থেকে ফুল তুলছিলেন। তাঁর মাথা ফেটে যায়। হইচই শুনে এলাকার লোকজন ছুটে যান। সুমিত্রা দেবীকে রায়গঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাসিন্দাদের দাবি, ওই সময়ে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে মাথা ঠুকে মৃত্যু হয় উত্তমবাবুর। কিন্তু, তাঁকে পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে গুজব রটে যায়। তবে মৃতের বাবা সমরবাবুর দাবি, “উত্তম বাড়ির পাশে সিমেন্টের তৈরি একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে নিজের মাথা ঠুকে আত্মঘাতী হয়েছে।” উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী জানান, ওই ব্যক্তির গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ কিংবা প্রমাণ মেলেনি। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তি বিদ্যুতের খুঁটিতে মাথা ঠুকে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পেয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, দুবছর আগে বিষক্রিয়ার জেরে স্ত্রীর মৃত্যুর পরে উত্তমবাবু মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। তাঁর ৯ ও ১১ বছর বয়সী দুই ছেলে রয়েছে। কয়েকদিন আগে তিনি তাঁর দুই ছেলের শরীরে তার ঠেকিয়ে তড়িদাহত করে। মৃতের বাবা সমরবাবু বলেন, “পাগল ছেলের অত্যাচারে পরিবার ও এলাকার বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন।” এলাকার বাসিন্দা শক্তি বর্মন ও পাপু রায় জানান, উত্তমবাবুর গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে বলে এলাকায় গুজব রটলেও তাঁরা কাউকে মারধর করতে দেখেননি।
|
ত্রাণ অমিল, পরিস্থিতির বদল হয়নি
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি ব্লকের গাঙ্গুরিয়া এলাকার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে গঙ্গারামপুর ও তপনে পুর্নভবা নদী এবং কুশমন্ডিতে টাঙন নদীর জল দ্রুত নামতে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জল নামতেই শুরু হয়েছে ত্রাণের জন্য বাসিন্দাদের হাহাকার। গত ২৪ ঘন্টায় বংশীহারিতে টাঙন নদীর জল মাত্র ৪৮ সেন্টিমিটার নেমেছে। সেচ দফতর সূত্রের খবর, টাঙনের নদীগর্ভ উঁচু হওয়ায় জলে বিস্তীর্ণ এলাকার ঘরবাড়ি ও চাষের জমি এখনও ডুবে রয়েছে। বাঁধ ও রাস্তা ভেঙেছে ৮টি জায়গায়। তবে সবগুলি বাঁধ ও রাস্তাই জেলাপরিষদ ও পঞ্চায়েতের অধীনে হলেও জরুরি ভিত্তিতে মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে বলে জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী জানিয়েছেন। |
|
বালুরঘাটের বংশীহারিতে বাঁধ মেরামতি চলছে। মঙ্গলবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
তিনি বলেন, “ব্লক এবং সেচ দফতরের যৌথ উদ্যোগে বালির বস্তা ফেলে এলাকাগুলিতে যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” প্রশাসন সূত্রের খবর, বন্যা কবলিত জেলার ১৮৫টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। সর্বত্র ত্রাণের কাজ চলছে। জল নামতে পেটের রোগ ছড়িয়েছে তপনের বজ্রাপুকুর, সুতল, শুকদেবপুর-সহ বংশীহারির বন্যা বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ শিবিরগুলিতে মেডিক্যাল টিম পাঠিয়ে ‘হ্যালেজেন ট্যাবলেট’-সহ ওষুধপত্র বিলি শুরু হয়েছে। এ দিন কুশমন্ডির উদয়পুর এলাকায় দুর্গতদের ত্রিপল বিলিতে দলবাজির অভিযোগ তুলেছে বামেরা। বংশীহারিতে ত্রাণের ত্রিপল না পেয়ে বানভাসিরা বিক্ষোভ দেখান। মহকুমাশাসক কীর্তিবাস নায়েক বলেন, “ব্লক থেকে তদন্ত করে প্রকৃত বানভাসিদের ত্রাণ সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। ত্রাণ শিবির থেকে দুর্গতদের দুবেলা রান্না করা খাবার ও ওষুধ সরবরাহ হচ্ছে।” দু’তিন দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
|
ত্রাণ নিয়ে গোলমাল
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
বাঁধ ভাঙার চার দিন পরেও পর্যাপ্ত ত্রিপল ও ত্রাণ না মেলায় হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নম্বর ব্লকের দৌলতনগর ও ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের বানভাসিদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছিল। মঙ্গলবার বিকালে ত্রিপল বিলি কেন্দ্র ব্যাপক গোলমাল হল দৌলতনগর পঞ্চায়েত অফিসে। ১৫০ ত্রিপল ছিনতাইয়ের অভিযোগে পুলিশ বানভাসিদের উপর লাঠিচার্জ করে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন। এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বানভাসিরা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস লক্ষ করে এলোপাথাড়ি ঢিল ছুড়তে থাকে। তার দফতরে হামলা চালায়। হামলায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার দুই পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। পঞ্চায়েত কর্মীরা পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। এরপরই ত্রাণ বিলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামলাতে হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে পুলিশ পাঠানো হয়। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ত্রাণ বিলি নিয়ে কিছু বন্যা দুর্গতরা পঞ্চায়েত অফিসে হামলা করেছিল। পুলিশের উপরও আক্রমণ হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।” ঘটনার পর পঞ্চায়েত কর্মীরা পঞ্চায়েত অফিস থেকে ত্রাণ বিলি করতে চাইছে না। ব্লক অফিস থেকে ত্রাণ বিলি করার চিন্তাভাবনা চলছে। জেলাশাসক কিরণ কুমার গোদালা বলেন, “এলাকার ২২০০ ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে ২ হাজার ত্রিপল বিলি করা হয়েছে। ২০০ জনের মধ্যে ত্রিপল বিলি করতে গেলে আরও ১৫০ জন বানভাসি তা দাবি করেন। তাঁদের ত্রিপল না দেওয়ায় পঞ্চায়েত দফতরে হামলা হয়।” ফুলহারে জল কমলেও দৌলতনগর রিং বাঁধ সংস্কার শুরু করতে পারছে না সেচ দফতর। নিবার্হী বাস্তুকার সুজিত বসু বলেন, “বাঁধ মেরামত করার জন্য বাঁশ, ব্যাগ সবই এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও প্রচুর জল রয়েছে।”
|
ব্রাত্য উবাচ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
গনি খান চৌধুরী মালদহের জন্য কাজ করলেও তাঁর পরিবারের কেউ কিছু করেননি বলে অভিযোগ করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মঙ্গলবার পঞ্চায়েত নিবার্চনে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে গিয়ে মালদহের মানিকচকের গোপালপুর ও মিল্কিতে জনসভায় ওই অভিযোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, “মালদহের জন্য গনি খান অনেক কাজ করেছেন।” এর পরেই শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ, গনি পরিবারের অন্যরা এখনও মালদহের জন্য কোনও কাজ করেননি। পাশাপাশি, মালদহে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় থেকেও কেন কংগ্রেস সার্বিক উন্নয়নে ব্যর্থ হয়েছে সেই প্রশ্ন তোলেন ব্রাত্যবাবু। এদিন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “রাজ্যে ৫৫ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা দিয়েছিল। স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দিয়েছে ৯০ হাজার। পঞ্চায়েত নিবার্চনের পর ৯০ হাজার শূন্যপদে শিক্ষকদের কর্ম সংস্থানের দ্রুত ব্যবস্থা করা হবে।” তাঁর আশ্বাস, মানিকচক কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ দিন জনসভায় পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, “গনি খান মারা যাওয়ার পর কোতুয়ালি যেন অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। আমি কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে বিপুল ভোটে জিতেছি।”
|
গোঁজ মোকাবিলায় নাজেহাল সিপিএম
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
শরিক আরএসপির সাত জন গোঁজ প্রার্থীর মোকাবিলায় নেমে সিপিএম প্রার্থীদের নাজেহাল পরিস্থিতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের বোল্লা গ্রামপঞ্চায়েতের ঘটনা। ভোটের মুখে চরম বিড়াম্বনায় দু’দলের জেলা নেতৃত্ব। বোল্লা অঞ্চলের ১৯টি গ্রাম সংসদ আসনের মধ্যে এ বারে জোটধর্ম মেনে আসন বন্টন প্রক্রিয়ায় সিপিএম ১৩টি এবং আরএসপি ৬টি আসনে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে। সাংগঠনিক অগ্রগতির দাবি করে স্থানীয় আরএসপি নেতৃত্ব আলোচনার শেষ ধাপে ৮টি আসন দাবি করে। কিন্তু তা সিপিএমের কাছে গ্রাহ্য হয়নি বলে অভিযোগ। আরএসপির ৬ জন প্রার্থী দলীয় প্রতীকে দাঁড়ান। অতিরিক্ত ৭ আরএসপি প্রার্থী বকলমে নির্দল হয়ে সিপিএমের প্রার্থীর বিরুদ্ধে আসনগুলিতে দাঁড়িয়ে গিয়েছেন। এমনকি বাম গণতান্ত্রিক নির্দল প্রার্থী’র নামে এলাকায় দেওয়াল লিখনের পাশাপাশি পোস্টার ও ফেস্টুন ঝুলিয়ে তাঁদের জয়যুক্ত করার ডাক দেওয়া হয়েছে। পোস্টারগুলিতে আবার সৌজন্যে স্থানীয় আরএসপি নেতাদের নামও লেখা রয়েছে বলে অভিযোগ। বোল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী আরএসপি প্রধান সিরাজ সর্দার বলেন, “যাঁরা নির্দল দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই।” জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক মানবেশ চৌধুরী বলেন, “নির্দল গোঁজ প্রার্থীর সঙ্গে বামফ্রন্টের সম্পর্ক নেই। এ কথা মানুষের মধ্যে প্রচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
|
সেলিমের সভা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে বিপদ সংকেতের মত লাল আলো দেখানোর ডাক দিলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। মঙ্গলবার বামপ্রার্থীর সমর্থনে কোচবিহারের খোলটা কালজানি ও পুন্ডিবাড়িতে ৩টি সভা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এবং সরকারের বিভিন্ন কাজকর্মের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “বিভিন্ন মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা বলছেন। অফিসারদের দিয়ে নানা কথা বলাচ্ছেন। নারী নিগ্রহ এবং কামদুনির মত ঘটনা ঘটেই চলেছে।”
|
জখম পাঁচ তৃণমূল কর্মী |
প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার সময় দুষ্কৃতী হামলায় জখম হলেন ৫ তৃণমূল কর্মী। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার দুধেরকুটি দেওয়ান বন এলাকায়। জখমদের কোচবিহার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের কর্মীরা ওই হামলা চালিয়েছে। কংগ্রেসের ও বামেদের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ওই ঘটনা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। |
|