ক্যামেরা নিয়ে তদন্তের দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তরফে কে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা নতুন করে বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন তা নিয়ে তদন্তের দাবি উঠেছে। এসজেডিএ’র কর্মী এবং ঠিকাদারদের একাংশই ওই দাবি তুলেছেন। তাঁদের একাংশের সন্দেগের তির একজন পদস্থ ইঞ্জিনিয়রের বিরুদ্ধে গিয়েছে। কারণ, ঠিকাদারদের কয়েকজনকে এবং কর্মীদের একাংশ জানতে পেরেছেন, ক্যামেরা বসানোয় যুক্ত সংস্থার কাছে এক জন ইঞ্জিনিয়রের লিখিত নির্দেশ রয়েছে। এমনকী জোড়াপানি নদী খাতে বহুকোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গেও ওই বাস্তুকারের নাম জড়িয়ে গিয়েছে বলে কর্মীদের একাংশের অভিযোগ। বিষয়টি এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের নজরেও এসেছে। এসজেডিএ সূত্রে খবর, ওই ইঞ্জিনিয়র ও ঠিকাদার সংস্থার মধ্যে কোনও যোগসাজশ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন গৌতমবাবু। এসজেডিএ’র মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক শরদ দ্বিবেদী বলেন, “অভিযোগের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।”
শহরের নিরাপত্তার স্বার্থে গত বছর পুজোর আগেই প্রায় ৮ কোটি টাকা খরচে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়। এমনকী পুজোয় শহরের নিরাপত্তার কথা বলে ওই ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা আনুূষ্ঠানিক ভাবে চালু করা হয়। ওই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন এসজেডিএ’র তৎকালীন মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক গোদালা কিরণ কুমার এবং পুলিশের এক কর্তা। পরে গৌতমবাবু এসজেডিএ’র দায়িত্ব নেওয়ার পরে একটি রিপোর্টে দেখতে পান, বেশির ভাগ টাকা দেওয়া হলেও সব জায়গায় ক্যামেরা বসেনি। এমনকী নিম্নমানের ক্যামেরা বসানোর অভিযোগও ওঠে। এর পরেই এসজেডিএ’র তরফে অন্য দুটি দুর্নীতির অভিযোগে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই মামলায় পুলিশ এসজেডিএ’র বাস্তুকার মৃগাঙ্কমৌলি সরকার, সপ্তর্ষি পাল, প্রবীন কুমারকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার করা হয় কলকাতার ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধার অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, তার ছেলেকে। ঠিকাদার শঙ্কর পালকে গ্রেফতার করা হয়।
পাশাপাশি, সিসি ক্যামেরা বসান নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত চলাকালীন ঠিকাদার সংস্থাকে ভুল শোধরানোর সুযোগ করে দেওয়া নিয়ে ধৃতদের আইনজীবীরাও প্রশ্ন তোলেন। বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হবে বলেও তাঁরা জানান। সেই সঙ্গে যে ইঞ্জিনিয়র সিসি ক্যামেরা নতুন করে বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধেও তদন্তের দাবি উঠেছে এসজেডিএ’র অন্দরেই। এ ব্যাপারে এসজেডিএ’র সুপারিনটেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়র দীপেশ বণিক বলেন, “আমি এ ধরনের কোনও নির্দেশ দিইনি।”
|