পরিবারে মিলমিশে, প্রচারে বিরোধী |
বৌদি-ননদ প্রতিপক্ষ ভোটের ময়দানে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা |
বৌদির সর্বক্ষণের সঙ্গী ননদ। যে সিনেমাই হোক, মেলা বা হাটবাজার ননদ সবসময় বৌদির সঙ্গে থাকবেনই। এলাকার কয়েকজন বাসিন্দাদের কথায়, “ওঁদের দেখলে বৌদি-ননদের থেকে দুই বোন বেশি মনে হয়। সব সময় দু’দনে একসঙ্গে থাকে। খুব মিলও দু’জনের।” এহেন ননদ-বৌদি রাজনীতির ময়দানে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নেমেছেন। আর তাতেই আলোড়ন গোটা গ্রাম জুড়ে।
গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে ননদ সিপিএমের, বৌদি তৃণমূল কংগ্রেসর প্রার্থী। দু’জনে ভল্কা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব বড় চকচকা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন। একই গ্রামে বাড়ি ওঁদের। ননদ কল্পনা অধিকারী আর বৌদি জয়ন্তী অধিকারীর বাড়ি একই এলাকায়। দুই জনই গৃহবধূ। এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের মঞ্জু চৌধুরী, বিজেপি’র অর্চনা সিংহ প্রার্থী হলেও ভোটের ময়দান জমজমাট করে তুলছেন ননদ-বৌদি। যুযুধান দুই জনের বক্তব্য, “ভোটের ময়দানের লড়াই যাই হোক না কেন এতে সম্পর্কের কোনও হেরফের হবে না। আমরা যেমন ছিলাম, তেমনই থাকব।”
তাঁরা জানান, রাজনীতিতে আলাদা মতাদর্শ থাকতেই পারে। তাই আমরা আলাদা আলাদা দলের প্রার্থী হয়েছি। এমন লড়াইয়ে নামতে হবে কখনও ভাবিনি। বরাবরের মত একসঙ্গে খাওয়া, আড্ডা সবই চলছে। তার মধ্যে যে যাঁর মত প্রচার করছি। এটা মতাদর্শের লড়াই। তাই কোনও ব্যক্তিগত কুৎসা করব না। মানুষের সামনে দলের নীতি, উন্নয়নেপ রূপরেখা মানুষের সামনে তুলে ধরছি। মানুষ যা রায় দেবেন মাথা পেতে নেব। কল্পনাদেবী বলেন, “কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট নেই। ওঁদের দলে গোষ্ঠী কোন্দলও রয়েছে। তাই আমিই জিবত।” আর তাঁর বৌদি জয়ন্তীদেবী বলেন, “আমরা সম্পর্কে ননদ-বৌদি হলেও বন্ধু বেশি। ভোটের লড়াইটাও তাই সুষ্টু পরিবেশে হচ্ছে। প্রচারে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আদর্শকে তুলে ধরছি। মানুষের প্রভূত সাড়া মিলছে। আর তৃণমূল এলাকায় প্রচুর উন্নয়ন করেছে তাই আমিও জিতছি।”
ননদ বৌদির জমজমাট লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসবেন সেইদিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা গ্রাম।
|