|
|
|
|
আমি প্রতারিত হয়েছি,
দিল্লি পুলিশকে সাক্ষ্যে বললেন দ্রাবিড়
নিজস্ব প্রতিবেদন |
স্পট ফিক্সিংয়ের মতো মারাত্মক কেলেঙ্কারিতে তাঁর টিম জড়িয়ে যাওয়ায় শুধু স্তম্ভিত নন, রাহুল দ্রাবিড়ের মনে হচ্ছে তিনি প্রতারিত হয়েছেন।
দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের কাছে আইপিএল কেলেঙ্কারি নিয়ে সাক্ষ্য দিতে বসে এমনটাই বলে দিলেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক।
রাজস্থান মালিক রাজ কুন্দ্রার ক্ষেত্রেও যা হয়নি, দ্রাবিড়ের বেলায় সেটাই করেছে দিল্লি পুলিশ। রাজ কুন্দ্রা সহ বাদবাকিদের যখন দিল্লিতে এসে সাক্ষ্য দিতে হয়েছে, তখন দ্রাবিড়ের সম্মানের কথা মাথায় রেখে বেঙ্গালুরুতেই উড়ে গিয়েছে দিল্লি পুলিশ। বুধবার দ্রাবিড়ের বাড়িতেই তাঁর বয়ান নেওয়া হয়। যা খবর, যেহেতু তাঁর টিম জড়িয়ে তাই দ্রাবিড়ের সাক্ষ্য আরও আগেই নেওয়ার কথা ভাবছিল দিল্লি পুলিশ। কিন্তু মাঝে দ্রাবিড়ের বাবা প্রয়াত হওয়ায় ব্যাপারটা পিছোতে হয়। প্রথমে ভাবা হয়েছিল, দ্রাবিড়ের সাক্ষ্যের দরকার পড়বে না। কিন্তু তদন্তকে আরও নিয়ে যেতে মত পাল্টায় দিল্লি পুলিশ।
|
|
এবং নিজের বয়ানে রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক পরিষ্কার জানিয়েছেন, কোনও দিনই কোনও ক্রিকেটারকে নিয়ে তাঁর মনে সন্দেহ আসেনি। নিজের বয়ানে দ্রাবিড় বলেছেন, “আমার কখনওই কাউকে নিয়ে সন্দেহ হয়নি। ম্যাচ ধরে ধরে আমি টিম বাছতাম।” সঙ্গে জানিয়েছেন, এই ঘটনার পর নিজেকে প্রতারিত মনে হচ্ছে তাঁর। টিমমেটরাই তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে যে, কেলেঙ্কারির সঙ্গে দ্রাবিড়ের কোনও যোগাযোগই নেই। তার ন্যূনতম সম্ভাবনাও নেই। রাজস্থান কর্তাদের কেউ কেউ-ও সেটা মনে করিয়ে দিচ্ছেন। দ্রাবিড়ের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে যাতে তদন্তকে আরও জোরদার করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া চার্জশিট আনা যায়। শুধু তাই নয়, পুলিশের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে যে রাজস্থান কোচ প্যাডি আপটন ভারতে এলে তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি নিয়ে।
প্রসঙ্গত, স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে শান্তাকুমারন শ্রীসন্ত, অজিত চান্ডিলা এবং অঙ্কিত চহ্বাণকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। সাতাশ দিন জেল খাটার পর শ্রীসন্ত-চহ্বাণ জামিনে মুক্তি পেলেও চান্ডিলা এখনও জেলে।
|
পুরনো খবর: শ্রীসন্ত-সহ রাজস্থানের ৩ ক্রিকেটার ধৃত |
|
|
|
|
|