এক সিপিএম কর্মী খুনের ঘটনায় যুক্ত অভিযোগে দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ২০১২-র ১৯ অগস্ট পাত্রসায়র বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকা থেকে ঘরছাড়া সিপিএম কর্মী লিয়াকত মিদ্যাকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে মারা হয়। সেই ঘটনায় যুক্ত অভিযোগে রবিবার ভোরে কাঁকরডাঙা এলাকা থেকে ওই দু’জনকে ধরা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা হলেন কাঁটাদিঘি গ্রামের শেখ মোজ্জাম্মেল ওরফে বাদল ও তাঁর ভাই শেখ আরিয়ুল। এ দিন ধৃতদের বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ওই খুনের ঘটনায় তৃণমূলের পাত্রসায়র ব্লক সভাপতি স্নেহেশ মুখোপাধ্যায়, নব পাল-সহ ২৪ জনের নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনার পর থেকে পুলিশ এ পর্যন্ত অভিযুক্তদের মধ্যে ৮ জনকে ধরেছে। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “ওই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রবিবার আরও দু’জনকে ধরা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে বাকি অভিযুক্তদেরও ধরার চেষ্টা চলছে।” তৃণমূল নেতা স্নেহেশবাবু অবশ্য দাবি করেন, “রাজনৈতিক কারণে সিপিএম আমার এবং আমাদের দলের বহু নিরীহ কর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ করে গিয়েছে। ওই ঘটনায় আমরা কেউই জড়িত নই, তবু পুলিশ সিপিএমের মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দুই কর্মীকে ধরেছে।” |
এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। খাতড়া থানা এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম প্রসেনজিত্ মণ্ডল। বছর ২৩ এর ওই যুবকের বাড়ি কপিলা গ্রামে। রবিবার ভোরে বাড়ি থেকে তাঁকে ধরা হয়। এ দিন ধৃতকে খাতড়া আদালতে হাজির করানো হলে ১৪ দিনের জেল হাজত হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খাতড়া থানা এলাকার ১৭ বছরের এক কিশোরী শনিবার পুলিশের কাছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে। ওই নাবালিকার দাবি, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রামের একটি পুকুরের কাছে সে একটি কাজে গিয়েছিল। সেই সময় ওই যুবক তাকে ধর্ষণ করে। শুক্রবার সে বাড়ির লোকেদের ঘটনাটি জানায়। শনিবার খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। যদিও অভিযুক্তের পরিবারের দাবি, তাঁকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। |