ভোট মিটে গিয়েছে দু’দিন আগে। কিন্তু দলের প্রতীক বিলি করা ও গোঁজ প্রার্থী দেওয়া নিয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ মেটেনি এখনও।
প্রতীক বিলি নিয়ে অসন্তোষের জেরে শনিবার তালড্যাংরা থানার বিবড়দা গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধল। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হল দলেরই কার্যালয়ে। আহত দুই কর্মীকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে।
তৃণমুলের তালড্যাংরা ব্লক সম্পাদক মনসারাম লায়েকের অভিযোগ, “যুব তৃণমূলের তালড্যাংরা ব্লক সভাপতি তাপস সুরের লোকজন শনিবার রাতে আমাদের বিবড়দা গ্রামের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়। কর্মীদের মারধর করে সেই কার্যালয়ে ওরা আগুন লাগিয়ে দেয়। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হন আমাদের দুই কর্মী সুনীল ঘোষ ও সুজয় রুইদাস।” তিনি দাবি করেছেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে ব্লক যুব সভাপতির বিরুদ্ধে নালিশ ঠুকেছেন। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দলের ব্লক যুব সভাপতি তাপসবাবু। তাঁর দাবি, “এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমাকে মাত্র ১৫টি প্রতীক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মনসারামবাবু পেয়েছিলেন ৯৪টি। তাতেও ওনার আশা মেটেনি। তাই আমার প্রাথীদের বিরুদ্ধে তিনি গোঁজ প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দেন। এ নিয়ে দলে ক্ষোভ-বিক্ষোভ ছিল। তবে কারা দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগিয়েছে ও মারামারি করেছে বলতে পারব না।”
ওই দুই নেতার মধ্যে কাজিয়া অবশ্য নতুন নয়। আগেই ওই দু’জনকে কেন্দ্র করে বার বার তালড্যাংরায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্ব যে তাঁদের বাগে আনতে পারেননি, এই ঘটনায় ফের তা প্রমাণিত হল।
তৃণমূলের জেলা কো চেয়ারম্যান অরূপ চক্রবর্তী অবশ্য দাবি করছেন, “এর মধ্যে দলের গোষ্ঠী কলহের কোনও ব্যাপার নেই। নির্দল প্রার্থীদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে বিবড়দায় আমাদের দলীয় কার্যালয়ে কারা আগুন লাগাল খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।” |