সুটিয়া নিয়ে তিক্ততা কাটাতে চাইছে তৃণমূল। রবিবার সুটিয়ায় নির্বাচনী সভায় এসে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, গণধর্ষণ কাণ্ডের পরে গড়ে ওঠা প্রতিবাদী মঞ্চের পাশে থাকবে তাঁর দল।
বছর খানেক আগে সুটিয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী বরুণ বিশ্বাসকে খুনের ঘটনার পর থেকে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে প্রতিবাদী মঞ্চের। বরুণকে খুনের তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে না বলে এর আগে বারবার দাবি করেছে প্রতিবাদী মঞ্চ। ৭ জনকে গ্রেফতার করার পরে চার্জশিট দেওয়া সত্ত্বেও তদন্তের গতিপ্রকৃতিতে সন্তুষ্ট নয় মঞ্চ। বরুণ খুনের মূল অভিযুক্তেরা অধরা বলে তাদের দাবি। সিআইডি-র উপরে ভরসা না রেখে সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন বরুণের মা-বাবাও। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে বরুণকে খুনের চক্রান্তের অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা। এ সবের প্রেক্ষিতেই কুৎসা ছড়ানোর অভিযোগে বরুণের বাবা জগদীশ বিশ্বাস, মঞ্চের সভাপতি ননীগোপাল পোদ্দার-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতা। প্রতিবাদী মঞ্চের দাবি-দাওয়ার পাশে দাঁড়িয়ে মুখ খুলেছিলেন স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী নন্দদুলাল দাস। তাঁকে মাওবাদী আখ্যা দিয়ে পুলিশে ডায়েরি করেছেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু। |
এ দিন গাইঘাটার সুটিয়ার পাঁচপোতায় নির্বাচনী সভায় দাঁড়িয়ে অবশ্য সাম্প্রতিক সেই তিক্ততা কাটানোর একটা বার্তা দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “মঞ্চের কাছে অনুরোধ, আপনারা প্রতিবাদ করুন। সুটিয়ার মানুষ আপনাদের সঙ্গে আছে। আমরাও থাকব। তবে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপির খপ্পরে পড়বেন না। ওরা আপনাদের ব্যবহার করছে।” যা শুনে ননীগোপালবাবুর প্রতিক্রিয়া, “কোনও রাজনৈতিক দলের খপ্পরে আমরা পড়িনি। মঞ্চে সব দলের লোকই আছে।” বরুণের বাবা বলেছেন, “উনি (মন্ত্রী) এত দিন কোথায় ছিলেন? সামনে ভোট বলে এখন এ সব কথা বলছেন।”
তবে, খাদ্যমন্ত্রীর পাশে থাকার বার্তাকে স্বাগত জানিয়েছেন ননীগোপালবাবু। তাঁর কথায়, “ওঁদের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। ওঁরা বুঝতে পেরেছেন, আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলাটা মানুষ ভাল চোখে দেখছেন না। মঞ্চের বিরুদ্ধে কথা বলা আসলে দুষ্কৃতীদেরই প্রশ্রয় দেওয়ার সামিল।” |