প্ল্যান ‘বি’ তৈরি সিএবি-র |
যত দিন যাচ্ছে, বাংলার কোচ ডব্লিউ ভি রামনকে নিয়ে জট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থার আয়োজিত টুর্নামেন্টে প্রস্তুতির জন্য বাংলা চলে গিয়েছে। কিন্তু রামন এখনও যাননি। আদৌ যাবেন কি না, তা নিয়েও ঘোরতর সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। কারণ কোনও কোনও মহলের খবর আসন্ন মরসুমে বাংলার কোচ আর না-ও থাকতে পারেন রামন। তামিলনাড়ুর প্রশিক্ষক হওয়া নাকি তাঁর প্রায় চূড়ান্ত।
নাটকের শুরু জুনের শেষ সপ্তাহে। যখন তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থার পক্ষ থেকে রামনকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয় সিএবি-কে। সিএবি প্রেসিডেন্ট তথা বোর্ডের অন্তর্বর্তিকালীন প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া সে সময় দেশে ছিলেন না। কিন্তু লন্ডন থেকে তাঁর ফেরার পরেও জল্পনার সম্পূর্ণ নিষ্পত্তি হয়নি। বরং তামিলনাড়ুর বিভিন্ন সংবাদপত্রে রামনের বাংলা ছাড়ার খবরে জল্পনা আরও বাড়ে। শেষ পর্যন্ত রামনকে নিজে ফোন করেন ডালমিয়া। তাঁকে বলা হয়, কলকাতায় এসে আগামী মরসুমের দায়িত্ব বুঝে নিতে। রামন জানান, এই মুহূর্তে তাঁর ছেলের ভিসা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে তিনি কলকাতায় আসছেন।
কিন্তু তিনি কি আদৌ থাকছেন কোচ হিসেবে? শনিবার চেন্নাইয়ে ফোন করা হলে রামন বললেন, “আমাকে এই প্রসঙ্গে কিছু জিজ্ঞেস করবেন না। এটা নিয়ে কথা বলতে চাই না।” চেন্নাইয়ের খবর, রামনের চুক্তিপত্র তৈরি হয়ে গিয়েছে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে তামিলাড়ু ক্রিকেট সংস্থার এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠক। সেখানেই তামিলাড়ু কোচ হিসেবে রামনের নাম ঘোষণা হবে।
উল্টো দিকে সিএবি-র একাংশের আশা, রামনের সঙ্গে চুক্তি বাকি আরও এক বছরের। তা ছাড়া সিএবি কর্তাদের রামন বলেননি যে তিনি থাকবেন না। কিন্তু পাশাপাশি ‘ব্যাকআপ’ হিসেবে নাম ভাবা শুরু হয়ে গিয়েছে। হেভিওয়েটদের মধ্যে যেমন আছেন বাংলার রঞ্জিজয়ী অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অশোক মলহোত্র। দেবু মিত্র। কারও কারও আবার নির্বাচক কমিটির প্রধান দীপ দাশগুপ্তকেও পছন্দ। ভরত অরুণের নামও হালকা ভাবে উঠছে। সিএবি কর্তাদের মনোভাব খুব পরিষ্কার: রামনকে নিয়ে এত টালবাহানার কোনও মানে নেই। থাকলে খুবই ভাল, কিন্তু না থাকলেও মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে না। এক কর্তা তো পরিষ্কার বলেই দিলেন, “রামন কি স্যর অ্যালেক্স ফার্গুসন নাকি যে আমাদের এত ভাবতে হবে?”
|