‘আগে পেনদের বন্ধু হতে চাই’ |
গোলগাল ছোটখাটো চেহারা। একবার কথা বলতে শুরু করলে থামার আর নাম নেই!
মহমেডানের নতুন নাইজিরিয়ান কোচ আব্দুল আজিজ মসুদ বুলাকে প্রথম দেখায় মনে হল, দারুণ হাসি-খুশি মানুষ। এবং ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি শহরের একটা ছোট্ট গ্রাম ভুয়োসরি থেকে বহু টুকরো টুকরো স্বপ্ন স্যুটকেসে ভরে নিয়ে এসেছেন। শনিবার সকালে শহরে প্রথম পা রেখেই আজিজ বললেন, “আমার প্রধান লক্ষ্য ট্রফি। আর সেটা পাওয়ার জন্য তিনটে বিষয়ের ওপর বাড়তি নজর দেব আমি। অনুশাসন, টিম-স্পিরিট ও ফিটনেস। আমি ক্লাব-কর্তাদের অনুরোধ করব, যাতে শুরুতেই একটা আবাসিক শিবিরের ব্যবস্থা করে দেন।” |
ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে যেটুকু জেনেছেন, তা মহমেডানে এ বারই যোগ দেওয়া পেন ওরজির ‘ফাদার’ ফুজাতোপের কাছ থেকেই। ভারতে খেলতে আসা নাইজিরিয়ান ফুটবলারদের মধ্যে চেনেন শুধু ডুডুকে। তাও তাঁর জন্মস্থান নাইজিরিয়ার ওসুন স্টেটের বাসিন্দা বলে। এ দিন বিকেলে মধ্য কলকাতার এক হোটেলে বসে আজিজ বলছিলেন, “ইউটিউব আর নেটের মাধ্যমে জেনেছি, এখানকার মানুষ কতটা ফুটবল-পাগল হতে পারে। আমার কাছে এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।” মহমেডান কর্তারা অবশ্য আজিজকে এই শর্তেই কোচ করেছেন যে, শুরুতেই লিগে সাফল্য দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে, মাঝপথে তাঁকে ছাঁটাই করে দিলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
মহমেডান কোচ আজিজ শহরে চলে এলেও, টোলগে-পেনদের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনও কথা হয়নি তাঁর। তবে ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে সব ফুটবলারকেই ফিরে আসতে বলা হয়েছে। ১৮ জুলাই প্রথম প্র্যাক্টিস। আজিজ অবশ্য প্রথমেই একটা ওয়ান-টু-ওয়ান সেশন করতে চাইছেন পেন-টোলগেদের সঙ্গে। বলছিলেন, “প্রত্যেক ফুটবলারের সঙ্গে আমি আলাদা করে কথা বলতে চাই। দলে টিম-স্পিরিট বাড়াতে গেলে সবার সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশতে হবে। ফিনল্যান্ডেও শুরুতে তাই করেছিলাম।” |