অ্যাসেজে ব্রড-বিতর্ক
সেই আগরের দিকেই এখন তাকিয়ে অস্ট্রেলিয়া
ইংল্যান্ড ২১৫ ও ৩৭৫
অস্ট্রেলিয়া ২৮০ ও ১৭৪-৬
বিতর্ক ও উত্তেজনাহীন অ্যাসেজতাও আবার হয়? ট্রেন্টব্রিজে প্রথম টেস্টে দুটোই হাজির।
রান, উইকেট, এলবিডব্লিউ-র সঙ্গে সঙ্গে বিতর্কও যথারীতি রয়েছে ইংরেজ, অজিদের সাধের অ্যাসেজ যুদ্ধে। যুদ্ধই বটে। জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়াকে ৩১১-র টার্গেট দিয়ে ও শনিবার চতুর্থ দিনের শেষে ১৭৪ রানের মধ্যে ওয়াটসন (৪৬), কাওয়ান (১৪), রজার্স (৫২), ক্লার্কসহ (২৩) ছয় ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিয়ে এই যুদ্ধ জমিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড।
প্রথম টেস্ট জয়ের জন্য কুকদের দরকার আর চারটি উইকেট। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার চাই আর ১৩৭ রান। প্রথম ইনিংসের অন্যতম নায়ক সেই আগারের দিকেই এখন তাকিয়ে অস্ট্রেলিয়া, যাঁকে ১১ নম্বর থেকে উঠিয়ে আট নম্বরে পাঠিয়েছেন ক্লার্ক। আগারকে নিয়ে লড়ছেন ব্র্যাড হাডিন (১১)। ট্রেন্টব্রিজে অস্ট্রেলিয়ার এই দুর্দশা ইংরেজদের খুশির কারণ হয়ে উঠতেই পারে। তবে এটা ঠিকই যে, ব্রড (৬৫) আম্পায়ার আলিম দারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গেলে হয়তো ইংল্যান্ড তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৭৫ পর্যন্ত এগোতেই পারত না। ব্রড ও বেলের (১০৯) ১৩৮ রানের জুটি অস্ট্রেলিয়ার সামনে বড় টার্গেট খাড়া করে দিল। পরিসংখ্যান বলছে বেল টেস্টে সেঞ্চুরি পেলে ইংল্যান্ড ম্যাচ হারে না। আগের ১৭টি সেঞ্চুরিতে তা-ই হয়েছে। ১৮ নম্বর সেঞ্চুরিতেও সেই ছবি দেখার আশায় গোটা ইংল্যান্ড।
ব্রডের হুঙ্কার। শনিবার ট্রেন্টব্রিজে। ছবি: এপি
এই নাটকীয় প্রেক্ষাপটে আবার এক জমজমাট বিতর্ক। এক দলের বক্তব্য, কেন স্টুয়ার্ট ব্রড শুক্রবার আউট হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও ক্রিজে দাঁড়িয়ে রইলেন? অখেলোয়াড়োচিত আচরণের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। আর এক পক্ষ বলছে, যাকে আউট দেওয়া হয়নি, সে কেন ক্রিজ ছেড়ে বেরোবে? যুদ্ধে কোনও কিছুই অন্যায় নয়। অ্যাসেজ তো যুদ্ধই।
স্বাভাবিক কারণেই অস্ট্রেলীয়রা ফঁুসছে পাক আম্পায়ার আলিম দারের ওপর। শুক্রবার টেস্টের তৃতীয় দিন ইংল্যান্ড যখন ২৯৭-৬-এ, ব্রড যখন ৩৭-এ, তখনই অ্যাশটন আগারের বল ব্রডের ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটকিপার হাডিনের গ্লাভস হয়ে ক্লার্কের হাতে ঢুকে পড়ে। স্পষ্ট ‘এজ’। কিন্তু অদ্ভুতভাবে দারের নজর এড়িয়ে গেল! ব্রডও দাঁড়িয়ে রইলেন ঠায়। অস্ট্রেলিয়ার রিভিউ চাওয়ার কোটাও শেষ। ফলে যাচাই করার উপায় আর নেই। টিভি রিপ্লেতে অবশ্য দেখা গেল, ব্রড পরিষ্কার আউট।
এই নিয়েই সরব প্রাক্তনরা। মাইকেল হোল্ডিং তো সরাসরি ব্রডকে নির্বাসনে পাঠানোর দাবি তুলেছেন। শেন ওয়ার্ন আবার ব্রডের পাশে। দোষটা তিনি পুরোপুরিই চাপিয়েছেন দারের ঘাড়ে। কেভিন পিটারসেন স্বাভাবিক ভাবেই ব্রডকে সমর্থন করে বলেছেন, “আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত জানার অপেক্ষা করবে না ব্যাটসম্যান? তার সে অধিকার আছে।”




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.