|
|
|
|
ঝোরা নিয়ে আধিকারিককে প্রশ্ন বিডিওর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে মাটি ফেলে ঝোরা বুজিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় উত্তরায়ণ উপনগরীর দায়িত্বে থাকা আধিকারিককে সতর্ক করলেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার বিডিও ফোনে লক্ষ্মী টাউনশিপ লিমিটেডের পক্ষে উত্তরায়ণ উপনগরীর দায়িত্বে থাকা আধিকারিক দীপঙ্কর ধরকে ফোন করে এ ব্যাপারে সতর্ক করেন। ঝোরায় এবং তার ধারে মাটি ফেলা হচ্ছে কেন জানতে চান। বিডিও’র কাছে ওই আধিকারিক দাবি করেছেন ঝোরায় মাটি ফেলা হচ্ছে না। জায়গাটি আগে চা বাগান ছিল। সে সময় সে প্রাকৃতিক ঝোরাগুলি ছিল তা অক্ষত রেখেই তারা কাজ করছেন। তবে দীপঙ্করবাবু ঠিক কথা বলছেন না বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তারা জানান, ঝোরার মধ্যে মাটি ফেলা হয়েছে তা স্পষ্ট। ওই আধিকারিকঠিক কথা বলছেন না।
বিডিও বীরবিক্রম রাই বলেন, “ঝোরা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পেয়েই বুধবার তা দেখতে দফতরের বাস্তুকারকে পাঠিয়েছিলাম। তিনি ফিরে বিস্তারিত জানিয়েছেন। তার পর এ দিন লক্ষ্মী টাউনশিপ লিমিটেডের পক্ষে উত্তরায়ণের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক দীপঙ্করবাবুর সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে। কোনও ভাবেই যেন জোরায় মাটি ফেলা না হয় তা দেখতে বলেছি।” পাশাপাশি ঝোরায় এবং তার ধারে যে মাটি ফেলা হয়েছে তা দ্রুত সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
মাটিগাড়ার যে এলাকায় ওই উপনগরী তথা ঝোরাটি রয়েছে সেই পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষও ঝোরায় মাটি ফেলার অভিযোগ শুনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মেগাবিল্ডার্স নামে একটি সংস্থা সেখানে নির্মাণ কাজ করছে। ওই নির্মাণ কাজে মাটি খুঁড়ে ঝোরায় এবং তার ধারে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। কেন তারা নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে ঝোরায় মাটি ফেলছেন সেই প্রশ্ন তুলেছেন গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। মেগাবিল্ডার্স সংস্থা যেখানে নির্মাণ কাজ করছেন সেই জায়গা রেসিডেন্সি এলাকার বলে দাবি করেছেন বাসিন্দারা। অবৈধ ভাবে লক্ষ্মী টাউনশিপ কর্তৃপক্ষ তা মেগাবিল্ডার্স সংস্থার কাছে বিক্রি করে দিয়েছে অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ‘রেসিডেন্সি’ এলাকার আবাসিকদের সংগঠন। তা নিয়ে মামলা চলছে। আদালত থেকে নির্মাণ কাজ স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সারকি তামাং বলেন, “নির্মাণ কাজের জন্য খোঁড়া মাটি দিয়ে ঝোরা বন্ধ করার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিডিওকে আমরাও জানাব।”
|
পুরনো খবর: বহুতল তৈরি হচ্ছে ঝোরা বেঁধে, নালিশ |
|
|
|
|
|