|
|
|
|
কর না পেয়ে ট্রেড লাইসেন্স আটকে দিল ব্লক প্রশাসন |
সৌমিত্র কুণ্ডু • শিলিগুড়ি |
যথাযথ ‘কর’ না মেলায় শিলিগুড়ির উত্তরায়ণ উপনগরীর সিটি সেন্টারের বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ‘ট্রেড লাইসেন্স’ নবিকরণ আটকে দিয়েছে মাটিগাড়া ব্লক প্রশাসন। এতে আইনক্স থেকে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স নবিকরণ হচ্ছে না। সেই সঙ্গে নতুন করে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়াও বন্ধ রাখা হয়েছে। ব্লক প্রশাসন এবং পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন সমীক্ষা অনুসারে বর্ধিত হারে কর দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। সেই মত কর দিলে ট্রেড লাইসেন্স নবীকরণ বা নতুন লাইসেন্স দেওয়ার কাজ শুরু হবে।
মাটিগাড়ার বিডিও বীর বিক্রম রাই বলেন, “উত্তরায়ণ উপনগরীর ওই মার্কেট কমপ্লেক্স-এর জন্য কর্তৃপক্ষ এবং ব্যবসায়ীরা পুরনো হারে কর দিচ্ছিলেন। বহুদিনের পুরনো সমীক্ষায় নামমাত্র ওই কর যথাযথ নয়। সে কারণে ওই কমপ্লেক্সের সমস্ত ট্রেড লাইসেন্স নবিকরণ এবং নতুন করে ট্রেড লাইসেন্স প্রদান বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্ধিতহারে নতুন ভাবে কর দিতে বলা হয়েছে।”
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই উত্তরায়ণ উপনগরী এবং সিটি সেন্টার মাটিগাড়া ব্লকে পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে। পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে প্রতি বছর ট্রেড লাইসেন্স নবিকরণ করাতে হয় সিটি সেন্টারের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলিকে। এ ছাড়া কমপ্লেক্সের খোলা জায়গা বা ভবনের জন্য সিটি সেন্টারের নির্মাতা অম্বুজা রিয়েলিটি কর্তৃপক্ষকে আলাদা কর দিতে হয়। ব্লক প্রশাসন থেকে জানা গিয়েছে, বহু বছরের পুরনো সমীক্ষা অনুসারে এতদিন ধরে সিটি সেন্টারের তরফে বার্ষিক ৩০ হাজার টাকা কর দেওয়া হচ্ছিল। ব্লক প্রশাসন সমীক্ষা করে দেখেছেন জাতীয় সড়কের ধারে থাকা ওই মার্কেট কমপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত কর মেলার কথা। আলোচনার পর ৪ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়। সিটি সেন্টারে ৩১০ টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই সমস্ত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে বছরে আরও প্রায় ১২ লক্ষ টাকা কর সংগ্রহ করা যেতে পারে।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, একই রকম ভাবে উত্তরায়ণ উপনগরীর মত জায়গা এবং বিলাসবহুল বাড়ি বা ফ্ল্যাটের যে ‘কর’ নির্ধারিত রয়েছে তা অপ্রতুল। উপনগরী নিমার্তা লক্ষ্মী টাউনশিপ লিমিটেডের তরফে সেখানকার জমি বা তাঁদের অধীণে থাকা ভবনের জন্য বছরে ৭০ হাজার টাকা মতো কর দেন। অথচ তা অনেকগুন বাড়বে। পাশাপাশি বিলাসবহুল বাড়ি এবং ফ্ল্যাটের জন্য সব মিলিয়ে অন্তত ১ কোটি টাকা কর আদায় সম্ভব বলে মনে করছে ব্লক প্রশাসন। অম্বুজা রিয়েলিটির তরফে সিটি সেন্টারের মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ সুরজিৎ দাস বলেন, “আলোচনার পর কতটা কর দিতে হবে তা ঠিক হয়েছে। দিন কয়েক আগে তা দেওয়া হয়েছে।” সিটি সেন্টারে থাকা একটি ভ্রমণ সংস্থার কর্ণধার সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘আমাদের কী হারে কর দিতে হবে তা সিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছিলেন না। গত ৩ মাস ধরে ট্রেড লাইসেন্স নবিকরণ আটকে রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার কর সংক্রান্ত একটি চিঠি তারা দিয়েছেন। আমরা সরকারি নির্ধারিত কর দিতে রাজি।” স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সারকি তামাং বলেন, “ওই কর আদায় হলে তা থেকে এলাকার অনেক উন্নয়ন কাজও গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে করা সম্ভব হবে।” |
|
|
|
|
|