|
|
|
|
ভাঙন সংকোশ, রায়ডাকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা |
সংকোশ, রায়ডাক নদী ভাঙনে কুমারগ্রাম ব্লকের ভল্কা, পশ্চিম চ্যাংমারি ও পূর্ব চকচকার বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। প্রতিদিনই ভাঙন বেনে চলছে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন। ভল্কা মৌজার নিমাই পাড়া, কাঠালতলা, ধন্দ্রা পাড়া ও রিটার্ন পাড়া এলাকায় গত দু’দিনে সেংকাশ নদীর পাড় ভেঙে চার বিঘা চাষের জমি তলিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই এলাকার অন্তত ১০০টি পরিবার ভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এদের মধ্যে ১৫টি পরিবার দু’বছর আগে সংকোশ নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সরে এসেছিলেন, এবারে ফের ওই পরিবারগুলি ভাঙনের মুখে পড়েছেন।
নিমাইপাড়া গ্রামের বৃদ্ধ নাসটি দাস বলেন, “নদী ভাঙনে আমাদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। দু’বছর আগে সংকোশ নদীর খাত পরিবর্তনের ফলে আমার বাড়ি-আম কাঁঠালের বাগান সব প্রায় পাঁচ বিঘা চাষের জমি তলিয়ে যায়। আমার মত আরও ১৫টি পরিবার সর্বস্ব হারিয়েছি। কিন্তু নদী আবার আমাদের গ্রামের দিকে আসছে। দ্রুত বাঁধ নির্মাণ না হলে নদী আবার গ্রামে ঢুকে পড়বে।”
রায়ডাক ২ নদীর ভাঙনে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পূর্ব চকচকা মৌজার বালাটারির ৯০ টি পরিবার। ওই এলাকার ভাঙন রোধে নদীতে বাশের খাঁচা ফেলা হলেও সেগুলি ভাঙ্গনে তলিয়ে গিয়েছে। এর ফলে ওই এলাকায় নদীর জল বাড়ায় ভাঙন শুরু হয়েছে। সামনে পঞ্চায়েত ভোট থাকায় ভাঙন নিয়ে সব পক্ষই প্রচার শুরু করেছে। তৃণমূল নেতা সুবল দাস বলেন, “উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছেন। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। আশা করছি ভোটের পর কাজ শুরু হবে।” আরএসপির কুমারগ্রাম জোনাল সম্পাদক দীপক দাস বলেন, “নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর শুধু মুখে উন্নয়ন করেছে। বাস্তবে কোনও উন্নয়ন হয়নি। উল্টে ভাঙন নিয়ে ওরা রাজনীতি শুরু করছে। ভোটের মুখে মন্ত্রী নেতারা ভাঙন দেখে যাচ্ছেন।” বিজেপি নেতা বাবুলাল সাহা বলেন, “কুমারগ্রাম ব্লকের অন্যতম প্রধান সমস্যা হল নদী ভাঙন। এতদিন বাঁধ তৈরি না করে, ভোটের অজুহাত দেখানো হচ্ছে।” গত বছর আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের তুরতুরি নদীর ভাঙনে তলিয়ে যায় গাড়ুখুটা এলাকার সেচ বাঁধ। দ্রুত এই সেচ বাঁধ মেরামতের দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা। শামুকতলা পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান রাহাবিয়াম কিস্কু জানিয়েছেন “এই সেচ বাঁধের সাহায্যে নদীর জল আটকে ২০০ একর জমির জলসেচের ব্যবস্থা হয়। এই বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় আগামী খরা মুরসুমে সেচের সুবিধে থেকে বঞ্চিত হবেন কৃষকরা।” আলিপুরদুয়ার সেচ দফতরের বাস্তুকার অলকানন্দ রায় বলেন, “দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।” |
|
|
|
|
|