আগামী বছর টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বেশ কিছু ম্যাচ চলে আসতে পারে ভারতে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সমস্যা না মিটলে গোটা টুর্নামেন্টেরই সরে আসার সম্ভানা থাকছে। লন্ডনে সদ্য সমাপ্ত আইসিসি-র বৈঠকের পর এমন সম্ভাবনাই তৈরি হয়ে গেল।
ঘটনাটা কী?
পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করার কথা ছিল বাংলাদেশের। ভারতে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালে। কিন্তু ঢাকা, কক্সবাজার, সিলেট এবং চট্টগ্রাম ও পার বাংলার এই চার প্রধান কেন্দ্রে শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা দেখা দেওয়ায় মনে করা হচ্ছে, চটজলদি সমাধান হতে পারে ভারত। কারণ হাতে আর সময় বিশেষ পড়ে নেই। সাত-আট মাস মতো বাকি। আর তার মধ্যে বাংলাদেশে সব সমস্যা মিটে যাবে, এমন আশাও বিশেষ করা হচ্ছে না।
|
সিএবিতে হাসিখুশি ডালমিয়া। বৃহস্পতিবার। —নিজস্ব চিত্র |
ভারতীয় বোর্ডের অন্তবর্তিকালীন প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া বৃহস্পতিবার সিএবি-তে বলছিলেন, “আমরা কারও থেকে ম্যাচ কেড়ে নিতে চাইছি না। সেটা সবার আগে বুঝতে হবে। আমরা বরং বাংলাদেশকে সাহায্যই করতে চাই। বাংলাদেশে যদি সমস্যা না মেটে, তা হলে কয়েকটা ম্যাচ আমরা আয়োজন করে ওদের সাহায্য করারই চেষ্টা করব।” তা হলে কি ধরে নেওয়া যেতে পারে আগামী বছর টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দেখতে চলেছে ভারত? এ বার ডালমিয়ার উত্তর, “আর ছ’মাস মতো বাকি। আগামী দু’তিন মাসে যদি কিছু না হয়, তা হলে সম্ভাবনা আছে।” ডালমিয়া-ঘনিষ্ঠ বোর্ডের কোনও কোনও কর্তা আবার জানাচ্ছেন, কয়েকটা ম্যাচ নয়, পুরো বিশ্বকাপটাই সরে আসতে পারে। কারণ, ওই চার কেন্দ্র বাদে বাংলাদেশে তেমন ভাল কোনও কেন্দ্র নেই। বলা হচ্ছে, সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপের কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ পেতে পারে ইডেনও।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নতুন কেন্দ্রের খোঁজ পাওয়া ছাড়া আইসিসি বৈঠকের উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হচ্ছে:
এক) ২০২৩ বিশ্বকাপ ভারতের আয়োজন।
দুই) টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২১ থেকে শুরু হওয়া।
তিন) ডোপিং-রোধে ক্রিকেটারদের ‘হোয়্যারঅ্যাবাউটস ক্লজ’ নিয়ে বোর্ডের অপরিবর্তিত স্টান্স।
চার) ডিআরএস নিয়ে ভারতীয় বোর্ডের অনড় মনোভাব। ধোনিরা অংশগ্রহণ করছেন এমন কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ভারতীয় বোর্ড না চাইলে, ডিআরএস আমদানি করা যাবে না। ডালমিয়া বরং বললেন, “যে প্রযুক্তি একশো শতাংশ নিখুঁত নয়, তাকে মেনে নেওয়ার যুক্তিও নেই।”
|