র্যান্টির মেল পেয়ে ইউনাইটেড কর্তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেন। দীপক মণ্ডল, লালকমল ভৌমিক, সংগ্রাম মুখোপাধ্যায়-সহ দলের বেশ কয়েক জন ফুটবলারের সঙ্গেও কথা বলেন অলোকেশ কুণ্ডুরা। সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীরাও চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। এই অবস্থায় ইউনাইটেড কর্তারা সিদ্ধান্ত নেন, র্যান্টিকে ছাড়া হবে না। এর পরই বুধবার রাতে গোলমেশিনকে ই-মেল করে আর্থিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ক্লাবের পক্ষ থেকে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে টাকা জোগাড়ের চেষ্টাও শুরু হয়। ক্লাব কর্তা নবাব বললেন, “র্যান্টিআমাদের ছেড়ে যাবে না, জানতাম। আমরা কোনও টাকা এখনও পাঠাইনি। শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে ই-মেল পাঠিয়েছি। তাতেই ও পাল্টা ই-মেল করে জানিয়েছে, থাকবে। শুধু র্যান্টিই নয়, অন্য ফুটবলাররাও যে ভাবে দল বাঁচাতে সাহায্য করছেন, তাতে আমরা কৃতজ্ঞ।” ক্লাব সূত্রের খবর, র্যান্টিকে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই কিছু টাকা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। র্যান্টিও বললেন, “ওরা চিঠি দিয়ে বলেছে এটাই যথেষ্ট। ওদের আমি বিশ্বাস করি। অগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে কলকাতায় যাব।”
এ বছর সর্বোচ্চ গোলদাতা শুধু নয়, ফেডারেশনের বিচারে সেরা ফুটবলারও মনোনীত হয়েছেন র্যান্টি। ওডাফা, টোলগে, চিডি, মোগাদের পিছনে ফেলে এই সম্মান পেয়ে খুশি হলেও ফেডারেশনের উপর বিরক্ত তিনি। বললেন, “সন্মান পেয়ে ভাল লাগছে। কিন্তু সব তো খাতায়-কলমে। কোনও টাকা-পয়সা বা ট্রফি তো কখনও পাইনি।” পরিবার নিয়ে ঘানা ঘুরে আসার পর এখন নিয়মিত অনুশীলন করে নিজেকে ফিট রাখছেন। দেখেছেন কনফেড কাপও। বলছিলেন, “নেইমার অসাধারণ ফুটবল খেলছে। তবে ও কিন্তু মেসি নয়। মেসি এখনও বিশ্বের এক নম্বর। তবে ব্রাজিল এ বার বিশ্বকাপ পেয়ে যেতে পারে। ওদের রুখতে পারে একমাত্র জার্মানি।” |