অগস্টের মধ্যে স্টেডিয়াম ও তার পরিকাঠামো তৈরির কাজ সম্পুর্ণ শেষ করতে না পারলে আগামী বছর টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দায়িত্ব হারাতে পারে বাংলাদেশ। আইসিসি-র কাছ থেকে তেমনই হুঁশিয়ারি পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু ঘটনা হল, সিলেট ও কক্স বাজারে নতুন স্টেডিয়ামের কাজ যে ভাবে এগোচ্ছে, তাতে আগামী দু’মাসে সেই কাজ শেষ করা মোটেই সোজা কাজ নয়।
আগামী বছর ১৬ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল বাংলাদেশে টি টোয়েন্টির বিশ্বকাপ হওয়ার কথা বাংলাদেশের চারটি ভেনুতে। মীরপুর ও চট্টগ্রামে পরিকাঠামো তৈরি থাকলেও (তাও পুরোপুরি নয়) অন্য দু’টি ভেনুতে তা হয়নি বলেই আইসিসি আপত্তি জানিয়েছে। সম্প্রতি আইসিসি-র বার্ষিক সন্মেলনে বিসিবি-কে এই ব্যাপারে সতর্কিত করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, অগস্টে আইসিসি-র প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে গিয়ে অবস্থা দেখে তার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে যে, আদোও সেখানে এই টুর্নামেন্ট করা যাবে কি না। দু’বছর আগে যেমন কলকাতা থেকে বিশ্বকাপের ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তেমনই এ বার বাংলাদেশকেই বাতিল করে দেওয়া হতে পারে।
আইসিসি-র নিয়ম অনুযায়ী সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ একশো শতাংশ শেষ হয়ে যাওয়া উচিত। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আশ্বাস দেওয়ায় অগস্ট পর্যন্ত সময় পেয়েছেন তাঁরা। দশ দিন আগেই বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান বলেছিলেন ঠিক সময়ে কাজ শেষ করা মুশকিল। তবে আইসিসি-র সভায় তিনি ঠিক উল্টো কথা বলেছেন। বাংলাদেশে শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্ট না হলে তা শ্রীলঙ্কা বা দক্ষিণ আফ্রিকায় সরে যেতে পারে। তবে বাংলাদেশ বোর্ড জানিয়েছে, তার দরকার হবে না। নাজমুল হাসান জানান, “আইসিসি-র প্রতিনিধি দল আমাদের জানিয়েছে আর কী কী করা দরকার। সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। আশা করি আর কোনও সমস্যা হবে না।”
এর আগেও দু’বার পরিদর্শনে গিয়ে ঢাকায় খেলোয়াড়দের থাকার ব্যবস্থা নিয়েও আপত্তি জানিয়েছিলেন আইসিসি কর্তারা। মে-তে প্রথমবার যখন পরিদর্শনে যান তাঁরা, তখন তো কক্স বাজারে স্টেডিয়ামের কাজ ঠিকমতো শুরুই হয়নি। তখন সিলেটের স্টেডিয়ামে ড্রেসিং রুম তৈরির কাজ শুরু হওয়াও বাকি ছিল। তখনই আইসিসি প্রতিনিধি দল জানিয়ে দিয়েছিল, কাজের গতি না বাড়ালে ডিসেম্বরের আগে কাজ শেষ করা সম্ভব না। |