ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে গুরুনাথ মইয়াপ্পন কাণ্ডের তদন্তের কাজকর্ম শুরু করা দূরে থাক, তদন্ত কমিশনের ভবিষ্যতই আপাতত বিশ বাঁও জলে। বোর্ডের কোনও কোনও কর্তা বুঝে উঠতে পারছেন না, আগামী সেপ্টেম্বরে বোর্ডের নির্বাচনের আগেও তদন্ত কমিশন কোনও রিপোর্ট জমা করে উঠতে পারবে কি না।
কারণ বিহার ক্রিকেট সংস্থার পক্ষ থেকে মুম্বই হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের। বোর্ড নিযুক্ত কমিশনেরই বিরুদ্ধে। যেখানে কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, কমিশনের দুই বিচারপতিই তামিলনাড়ুর। অন্য দিকে গুরুনাথও তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। এটা কী ভাবে হতে পারে? আরও বলা হয়, বোর্ডের হেডকোয়ার্টার যেহেতু মুম্বইয়ে তাই সেখানেই পুরো ব্যাপারটার বিচার হওয়া উচিত। মুম্বই হাইকোর্টের পক্ষ থেকে বোর্ডকে চোদ্দো দিন সময় দেওয়া হয়েছে, নিজেদের বক্তব্য পেশ করার। শুনানির দিন সম্ভবত ৫ জুলাই। কিন্তু চূড়ান্ত রায় পেতে পেতে কত দিন লাগবে, বোর্ডের কাছে তা এখনও পরিষ্কার নয়।
অন্তর্বর্তিকালীন বোর্ড প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া এখন লন্ডনে। আইসিসি বৈঠকে গিয়েছেন। রবিবার রাতে ডালমিয়া-ঘনিষ্ঠ একজন বলছিলেন, যা অবস্থা তাতে কমিশনের কাজ শুরু হবে কোনও ঠিক নেই। মামলার রায় যত দিন না মুম্বই হাইকোর্ট দিচ্ছে, তত দিন কোনও কিছুতে হাত দেওয়া যাবে না। এমনকী সেপ্টেম্বর নির্বাচনের আগেও রিপোর্ট জমা পড়বে কি না, কোনও গ্যারান্টি নেই। আর না পড়লে নির্বাচনের সময় শ্রীনিবাসন যে আরও বেকায়দায় পড়বেন, তা প্রায় নিশ্চিত। |