বীরভূমের মাওবাদী অধ্যুষিত আটটি থানা এলাকার পুলিশ কর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করলেন ‘কাউন্টার এমারজেন্সি ফোর্সে’র এডিজি কুন্দনলাল তামটা। ঝাড়খণ্ড সীমান্ত এলাকায় পুলিশ সুপার-সহ সাত পুলিশ কর্মী নিহত হওয়ার পরেই বীরভূমে বিশেষ তর্কতা জারি হয়েছে। তার জেরেই জেলার নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার যেখানে মাওবাদী হামলা হয়েছে, তার থেকে নলহাটি বা মহম্মদবাজার থানা এলাকাগুলির দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিনের আলোচনায়ওই দুই থানাকে বিশেষ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই নলহাটি ও খয়রাশোলে দু’ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন হয়েছে। তাঁরা এলাকায় টহল দিতেও শুরু করেছে। আধা সামরিক বাহিনীকে তল্লাশি অভিযান জোরদার করতে বলা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের নিয়ে কোনও তথ্য পেলে সেই খবর জেলার পুলিশ সুপার-সহ অন্য পুলিশ-কর্তাদের কাছেও পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “গ্রামবাসীদের সঙ্গে জনসংযোগ আরও বাড়াতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত তল্লাশি অভিযান চালাতে বলা হয়েছে। বিশেষ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে রাতপাহারার ক্ষেত্রেও।” এ ছাড়া পাথর খাদান, ইটভাটা, কয়লা খাদানের মতো এলাকাগুলিতে নানা স্থানীয় সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
বুধবারই সিউড়িতে পুলিশ সুপারের অফিসে জরুরির বৈঠকে বসেছিলেন আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) সিদ্ধিনাথ গুপ্ত। ওই দিন দুপুর পৌনে বারোটা নাগাদ খয়রাশোল, রাজনগর, দুবরাজপুর, মহম্মদবাজার, রামপুরহাট, নলহাটির মতো নটি থানার (যেগুলি ঝাড়খণ্ড সীমানা ঘেঁষা অথবা যে সব থানা এলাকায় ইতিমধ্যেই মাওবাদী নাশকতা হয়েছে কিংবা মাওবাদী গতিবিধি লক্ষ্য করা গিয়েছে) ওসি, আইসিদের নিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। জেলা পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবস্মিতা দাস, ও জেলা পুলিশের একাধিক আধিকারিকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলায় সদ্য আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডার ধর্মেন্দ্র কুমার। |