উত্তরায়ণ উপনগরীর ‘রেসিডেন্সি’ এলাকায় অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ ওঠায় আদালত কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছিল। নির্দেশ মানা হচ্ছে না অভিযোগ ওঠায় পুলিশকে তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিল আদালত। মঙ্গলবার ‘রেসিডেন্সি’ এলাকার আবাসিকরা ওই অভিযোগ তুলে স্থানীয় থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিতে শিলিগুড়ি সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশন আদালতের দ্বারস্থ হন বাসিন্দারা। এর পরেই আদালত ওই নির্দেশ দেয়। তবে বুধবার রাত পর্যন্ত অবশ্য থানায় এ ব্যাপারে আদালতের কোনও নির্দেশিকা পৌঁছয়নি।
আবাসিকদের পক্ষে আইনজীবী মিলিন্দ পাল বলেন, “রেসিডেন্সি এলাকার অধীনে থাকা পার্ক, খোলা জায়গার একাংশ অবৈধ ভাবে বিক্রি করে নির্মাণ কাজ হচ্ছে। গত ১৮ জুন আদালত নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিলেও তা মানা হচ্ছে না। আদালতের নির্দেশ মানা হচ্ছে কি না মাটিগাড়া থানার ওসিকে তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।”
মেগাবিল্ডার্স নামে যে প্রমোটার সংস্থার কাছে উত্তরায়ণ উপনগরীর রেসিডেন্সি এলাকার ওই জমি লক্ষ্মী টাউনশিপ কর্তৃপক্ষের তরফে বিক্রি করা হয়েছে তারাই আদালতের নির্দেশ না মেনে নির্মাণ কাজ চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ। তাদের পক্ষের আইনজীবী সমীর ঘোষ জানান, আদালত নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়ার পর তা মানা হচ্ছে কি না মাটিগাড়া থানার পুলিশ আধিকারিককে তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে বলেছেন। সমীরবাবুর দাবি, “আদালতের নির্দেশ মেনে সেখানে কোনও কাজ হচ্ছে না বলেই জানতে পেরেছি।” বিপক্ষের অভিযোগ পাওয়ার পর সমীরবাবুও মেগাবিল্ডার্সের কর্ণধারদের আদালতের নির্দেশ যাতে মানা হয় সে ব্যাপারে সতর্ক করেছেন বলে জানান। লক্ষ্মী টাউনশিপ লিমিটেডের ওই উত্তরায়ণ উপনগরীর দায়িত্বে থাকা মুখ্য কার্য নির্বাহী আধিকারিক দীপঙ্কর ধর বলেন, “বুধবার কোনও নির্মাণ কাজ হতে দেখিনি। তা ছাড়া ওই নির্মাণ কাজের সঙ্গে আমাদের কোনও ব্যাপার নেই।” |