বেশি দামে গাড়ি বেচে ক্ষতিপূরণের সাজা |
গাড়ির যা দাম, গ্রাহকের কাছে তার চেয়ে বেশি নেওয়ায় এক ডিলার সংস্থাকে ভর্ৎসনা করল ক্রেতা অভিযোগ নিষ্পত্তি ফোরাম। ফোরামের রায়, ওই ডিলার সংস্থা অসদুপায় অবলম্বন করেছে। গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া বাড়তি টাকা এবং ক্ষতিপূরণ এক মাসের মধ্যে তাঁকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ফোরাম। টাকা ফেরত না দিলে ওই ডিলারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ক্রেতা সুরক্ষা দফতর সূত্রের খবর, দমদমের বাসিন্দা তপনকুমার নন্দী বি টি রোডে একটি গাড়ি সংস্থার অনুমোদিত এক ডিলারের কাছ থেকে গাড়ি কেনেন। গাড়ির দাম ৫ লক্ষ ৯৯৬ টাকার উপরে রেজিস্ট্রেশন, বিমা, নম্বর প্লেট এবং অডিওর খরচ ধরে মোট ৫ লক্ষ ৩৮ হাজার ১৩২ টাকা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে এই বাবদ মোট ৫ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা নেয় ওই ডিলার সংস্থা। ওই টাকার রশিদও দেয়। কিন্তু পরে গাড়ি দেওয়ার বিলে টাকার অঙ্ক লেখা ছিল ৫ লক্ষ ৩৮ হাজার ১৩২ টাকাই। অর্থাৎ ৬,৮৬৮ টাকা বেশি নেয় ওই ডিলার। ওই টাকা ফেরত দেওয়ার আবেদন জানিয়ে কোনও ফল না পাওয়ায় বারাসত জেলা ক্রেতা-অভিযোগ নিষ্পত্তি ফোরামে আবেদন করেন তপনবাবু।
বারাসত জেলা ফোরামের সভাপতি, প্রাক্তন বিচারক বিপিন মুখোপাধ্যায় বলেন, “এ ধরনের ঘটনা এখন মাঝে মাঝেই ঘটছে। এক শ্রেণির ডিলার বা গাড়ির দোকান ক্রেতাদের নানা ভাবে ঠকাচ্ছে। ওই সব অসাধু ব্যবসায়ীদের কঠোর শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।”
আবেদন জমা পড়ার পরে দু’পক্ষকে ডেকে পাঠানো হয়। পরে জেলা ফোরাম রায় দেয়, কেবল বাড়তি টাকা ফেরত দেওয়াই নয়, তার সঙ্গে গ্রাহককে অযথা মানসিক চাপে ফেলার জন্য তিন হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আর রাজ্য ক্রেতা-কল্যাণ তহবিলে দিতে হবে পাঁচ হাজার টাকা। ফোরাম সূত্রের খবর, এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে এই নির্দেশ না মানলে অতিরিক্ত প্রতি দিনের জন্য ১০০ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে ওই ডিলারকে। পাশাপাশি শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
বুধবার তপনবাবু জানিয়েছেন, তিনি এখনও ক্ষতিপূরণের কোনও টাকাই ফেরত পাননি। অভিযুক্ত ডিলার সংস্থার তরফে সেলস ম্যানেজার দীপঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ক্রেতা-অভিযোগ নিষ্পত্তি ফোরাম যে রায় দিয়েছে, সেই ব্যাপারে আমরা তাদের সঙ্গেই বুঝে নেব।” এর বেশি আর কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি তিনি।
|