যমজ শিশুর পিতৃত্ব অস্বীকার করে মাকে বেধড়ক মার |
সদ্যোজাত যমজকে নিয়ে মা গিয়েছিলেন ‘স্বামী’র কাছে। আশ্রয়ের বদলে জুটল মারধর। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব যাদবপুরের শহিদ স্মৃতি কলোনিতে। পুলিশ জানায়, নিগৃহীত মহিলার নাম গৌরী নস্কর। মারধর করেছেন গোপাল নস্কর নামে এক ব্যক্তি। শুধু ওই মহিলাকে নয়, তাঁর বাবা সুবল হালদার, ভাই বাপি হালদারকেও মারধরের অভিযোগ উঠেছে গোপালের বিরুদ্ধে। গৌরীদেবী জানান, তাঁর বাবা ও ভাই এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গৌরীদেবী ও গোপালের বাড়ি শহিদ স্মৃতি কলোনির একটি বস্তিতে। গৌরীদেবীর বাবা সুবলবাবু রিকশা চালান। গোপাল বিশেষ কিছু করেন না। ৫ জুন গৌরীদেবীর যমজ সন্তান হয়। তাঁর দাবি, গোপালই ওই দুই সন্তানের বাবা। তিনি তাঁকে বিয়েও করেছেন। সোমবার রাতে গৌরীদেবী দুই সন্তানকে নিয়ে গোপালের বাড়ি যান। কিন্তু গোপাল ওই দুই সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার করেন, গৌরীদেবীকে স্ত্রী বলে মানেননি। গৌরীদেবীর অভিযোগ, গোপাল তাঁকে বাড়ির সামনেই মারধর করেন, একটি শিশুর পা মচকে দেন। গৌরীদেবীর বাবা ও ভাই প্রতিবাদ করায় গোপাল এবং তাঁর কয়েক জন বন্ধু তাঁদেরও বেধড়ক পেটান বলে অভিযোগ।
গৌরীদেবীর মা কাননদেবী বলেন, “আমার মেয়ে অসুস্থ। গোপালই ওকে আর আমার স্বামীকে মেরেছে। একটি বাচ্চার পা মচকে দিয়েছে।” পুলিশ জানায়, গোপালের দুই সন্তান আছে। বুধবার পর্যন্ত গোপালের খোঁজ মেলেনি। তাঁর স্ত্রী কবিতা নস্কর বলেন, “আমার স্বামীর সঙ্গে গৌরী নামে ওই মহিলার মেলামেশা ছিল বলে জানতাম। তবে ওই মহিলা এবং তাঁর সন্তানদের মারধরের ঘটনায় আমার স্বামী যুক্ত নন।” এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
|