অনাস্থা আনায় পুরপ্রধান পদত্যাগ করেছেন, নিয়মিত যান না উপপুরপ্রধানও। পরপর দুটি বোর্ড মিটিংও হয়নি ঘাটাল পুরসভায়। এর জেরে শিকেয় উঠেছে পুরসভায় উন্নয়ন। এরই মধ্যে আজ, বুধবার ঘাটাল পুরসভায় তৃণমূলের নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচন হবে। যদিও কে পুরপ্রধান হবেন, তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। তৃণমূলের অন্দরের খবর, এক পক্ষ চাইছেন বিভাস ঘোষকে, অন্য পক্ষ চাইছেন উদয়শঙ্কর সিংহরায়কে। দলীয় সূত্রে খবর, বিভাস ঘোষের দিকেই এখনও পাল্লা ভারি। তবে পুরপ্রধান যিনিই হন ঘাটালের পুরবাসীরা তাকিয়ে আছেন উন্নয়নের দিকেই।
পুরসভা ভোটের পরে ঘাটালে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট বেধে ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু পুরসভা পরিচালনা নিয়ে বিগত কয়েকমাস ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বাড়ছিল। একবার তৃণমূলের কাউন্সিলাররা বোর্ড মিটিং বয়কটও করেছিলেন। গত ১২ মে কংগ্রেস থেকে তিন কাউন্সিলার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই পুরসভার চিত্র পুরো পাল্টে যায়। ১৮ মে তৃণমূল কাউন্সিলাররা পুরপ্রধানের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। এর পর পুরপ্রধান ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে গত ৩১ মে পুরসভার বোর্ড অফ কাউন্সিলের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। এই সব জটিলতার মধ্যেই থমকে পুরসভার উন্নয়ন।
ফি বছর সাধারণ বর্ষাতেই জলমগ্ন হয় ঘাটাল পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ডের ১২টি ওয়ার্ড। কিন্তু এ বার হয়নি সে সংক্রান্ত কোনও বৈঠকও। কবে হবে তাও জানা নেই পুরকর্তাদের। অথচ বিগত বছরগুলিতে বর্ষা নামার এক মাস আগে বোর্ড অফ কাউন্সিলের বৈঠক হত। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে নৌকা, ত্রাণের ব্যবস্থা-সহ কী কী করণীয়-তাও ঠিক করা হত ওই প্রস্তুতি বৈঠকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুরসভার এক কর্মী বলেন, “বন্যার জন্য কোনও প্রস্তুতি বৈঠক না হওয়ায় আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। যে কোনও দিন শহরে জল ঢুকে যেতে পারে। এ বার আবার ভোটের জন্য অধিকাংশ নৌকা প্রশাসন আগেই নিয়ে নিয়েছে। ভাগ্যে কী আছে জানি না।”
|