ঘাটালের পুরপ্রধান জগন্নাথ গোস্বামীর পদত্যাগ পত্র গৃহীত হল।
গত ৩১ মে কংগ্রেসের পুরপ্রধান জগন্নাথবাবু বোর্ড অফ কাউন্সিলর্স-এর কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী, তা যাতে গৃহীত হয়, তার জন্য ১৫ দিনের মধ্যে বৈঠক ডাকতে হত তাঁকেই। জগন্নাথবাবু কোনও বৈঠক ডাকেননি। তাই তৃণমূলের উপপুরপ্রধান উদয়শঙ্কর সিংহরায় (সাত দিনের মধ্যে বৈঠক ডাকার ক্ষমতা আছে) শুক্রবার বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে কংগ্রেসের দু’জন এবং সিপিএমের ছ’জন কাউন্সিলর না থাকলেও তৃণমূলের ন’জন কাউন্সিলর ছিলেন। ফলে নিয়মানুযায়ী পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করতে কোনও বেগ পেতে হয়নি উপস্থিত তৃণমূলের কাউন্সিলরদের।
এ দিকে চেয়ারম্যানের পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ায় পর এ বার তৃণমূলের নতুন চেয়ারম্যান কে হবেতা নিয়ে ঘাটাল শহর জুড়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, চেয়ারম্যান ঠিক করা নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক বার দলীয় স্তরে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু ঐকমত্যে পৌঁছনো যায়নি। এক পক্ষ চাইছে বিভাস ঘোষকে,আর এক পক্ষ উদয়শঙ্কর সিংহরায়কে। ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলই বলেন, “আগামী ২৬ জুন নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচনের জন্য দিন ঠিক হয়েছে। চেয়ারম্যান নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা এখনও চলছে। তবে, এই নিয়ে দলে কোনও কোন্দল নেই।”
গত পুরভোটে ঘাটালে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট পুরসভা দখল করে। বছর তিনেক ধরে জোটের পুরসভা চললেও গত ১২ মে কংগ্রেস থেকে তিন জন কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিলে পাশা উল্টে যায়। গত ১৮ মে ঘাটালের মহকুমাশাসকের কাছে পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় তৃণমূল। কিন্তু চেয়ারম্যান অনাস্থায় না গিয়ে পুরআইন মোতাবেক বোর্ড অফ কাউন্সিলর্স-এর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তারপর আর তিনি বৈঠক না ডাকায় সেই পদত্যগপত্র গ্রহণে এত দেরি হল বোর্ড অফ কাউন্সিলর্স-এর।
|