ঘাটালে পুরপ্রধানের পদত্যাগ |
ঘাটাল পুরসভার কংগ্রেস চেয়ারম্যান জগন্নাথ গোস্বামী পদত্যাগ করায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হল। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় ব্যাক্তিগত কারণ দেখিয়ে লিখিত ভাবে পুরসভার ‘বোর্ড অফ কাউন্সিলর্সের’ কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দেন তিনি। উল্লেখ্য, ঘাটাল পুরসভায় কংগ্রসে-তৃণমূলের জোট থাকলেও কিছু দিন আগে কংগ্রেস থেকে তিন কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে বর্তমানে ১৭ আসনবিশিষ্ট ঘাটাল পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ট তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা ৯। গত ১৮ মে তৃণমূলের ন’জন কাউন্সিলর চেয়ারম্যানের প্রতি ঘাটাল মহকুমাশাসকের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছিলেন। তবে চেয়ারম্যান অনাস্থা ভোটে না গিয়ে পদত্যাগ করায় জটিলতা বাড়ল। তবে পুরসভায় এখনই কেউ নতুন চেয়ারম্যান হচ্ছেন না। কেননা জগন্নাথবাবু ‘বোর্ড অফ কাউন্সিলর্স’এর কাছে পদত্যাগ করায় এখনও পুর-আইন অনুযায়ী ফের ১৫ দিন তিনিই চেয়ারম্যান থাকবেন। পনেরো দিনের মধ্যে চেয়ারম্যানকে তাঁর পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করার জন্য তলবি সভা ডাকতে হবে। তিনি মিটিং না ডাকলে সাত দিনের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান ওই সভা ডাকবেন। সেখানে চেয়ারম্যানের পদত্যাগ গৃহীত হলে তবেই নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচনের জন্য মহকুমা শাসক মিটিং-এর দিন ঠিক করবেন।
|
তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ |
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন তমলুকের উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একশোরও বেশি কর্মী-সমর্থক। শুক্রবার বিকেলে তমলুকের নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধে আয়োজিত কংগ্রেসের এক সভায় সোনামুই এলাকার জামশেদ শা’র নেতৃত্বে ১২৫ জন তৃণমূল সমর্থক এ দিন কংগ্রেসে যোগ দেন বলে দাবি করেন জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। এ দিন সভায় ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি অসিত পাল, সাধারণ সম্পাদক মৃণাল পাল, সদর ব্লক সভাপতি বিকাশ প্রামাণিক প্রমুখ। অসিতবাবু বলেন, “উত্তর সোনামুই এলাকার ১২৫ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন।” উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সোমনাথ বেরা অবশ্য কংগ্রেস নেতাদের এই দাবি উড়িয়ে বলেন, “জামশেদ শাহ কোনও দিনই তৃণমূলের সঙ্গে ছিল না। বিভ্রান্তি ছড়াতেই কংগ্রেস মিথ্যে দাবি করছে।”
|
স্থায়ী কর্মীদের সভাতেও এবিজি বিদায়ের প্রসঙ্গ |
স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পণ্য খালাসকারী সংস্থা ‘এবিজি’ বিদায়ের প্রসঙ্গ উঠল আইএনটিটিইউসি পরিচালিত হলদিয়া বন্দরের স্থায়ী কর্মী সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভাতেও। শুক্রবার হলদিয়া টাউনশিপের বিবি ঘোষ সভাঘরে আয়োজিত ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সৌগত রায়, সাধারণ সম্পাদক অসীম সূত্রধর, আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভানেত্রী দোলা সেন প্রমুখ। এবিজি বিদায় নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমের একাংশ অপপ্রচার চালাচ্ছে অভিযোগ তুলে সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “এবিজি একটা ঠিকাদার সংস্থা। সুতরাং তারা চলে গেলে কোনও যায়-আসে না। তবে যারা কাজ হারিয়েছেন, তাঁদের অনেকেই অন্য ঠিকাদারি সংস্থা কাজ পাচ্ছেন। ওই দু’টি বার্থে যারা আসবে তাঁদেরও কাজহারা শ্রমিকদের নিতে হবে।” তাঁর অভিযোগ, “৭৭-৭৮ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে জলচুক্তির পর থেকেই নাব্যতা সঙ্কটে ভুগছে এই বন্দর।” হলদিয়া বন্দরের অর্ধেক স্থায়ী শ্রমিকই সংগঠনের সদস্য বলে দাবি করেন তিনি।
|
জমি দিতে নারাজ বৃদ্ধাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগে ধৃত গৌরাঙ্গ প্রধানকে দশ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালত। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম শহর থেকে গৌরাঙ্গকে ধরা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। যদিও তৃণমূলের এক সূত্রের দাবি, দলের এক শীর্ষ নেতার নির্দেশেই পুলিশের কাছে ধরা দেন এলাকায় তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত গৌরাঙ্গ।
|