|
|
|
|
উন্নয়ন বৈঠক ঘিরে আবার গণ্ডগোল
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
গত ছ’বারের বিরোধিতার পুনরাবৃত্তি। শুক্রবারও বাম পরিচালিত হলদিয়া পুরসভার সপ্তম উন্নয়নমূলক বৈঠকে যোগ দিল না তৃণমূল। দিনভর তুমুল বিশৃঙ্খলার মধ্যেই অবশ্য বৈঠক হয়েছে বলে জানিয়ে দিলেন পুর-কর্তৃপক্ষ। যদিও অসুস্থতার জন্য পুরপ্রধান তমালিকা পণ্ডা শেঠ-সহ বামেদের দু’জন গরহাজির ছিলেন। তমালিকাদেবী বলেন, “বিক্ষোভের খবর পেয়েছি। যা হয়েছে, তা অগণতান্ত্রিক এবং ভয়ঙ্কর।”
এ দিন সকালে বৈঠকের আগে ক্ষুদিরাম নগরে সিপিএমের জোনাল কার্যালয়ে গিয়েছিলেন বাম কাউন্সিলরেরা। বেলা ১১টা নাগাদ পুরভবন এবং ওই জোনাল কার্যালয়ের সামনে জমায়েত করে তৃণমূল। ওই কার্যালয়ে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ কিছু দুষ্কৃতী আশ্রয় নিয়েছে দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশ গিয়ে বাম কাউন্সিলরদের উদ্ধার করে বাইরে আনতেই গণ্ডগোল বাড়ে। পুলিশ ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তৃণমূল নেত্রী চম্পারানি মাজি অভিযোগ করেন, “সিপিএমের হার্মাদরা জোনাল অফিসে ছিল। পুলিশ তাদের না ধরে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়।”
কোনও রকমে পুলিশি ঘেরাটোপে উপপুরপ্রধান নারায়ণ প্রামাণিক-সহ ১৩ জন কাউন্সিলর পুরভবনে ঢোকেন বেলা সাড়ে ১২টায়। আগে থেকে সেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলরেরা। সিপিএমের জোনাল কার্যালয়ের সামনে যে সব তৃণমূল নেতা-কর্মী বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁদের একটা বড় অংশও পুরসভায় পৌঁছে যান। পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান ও পুর-পরিষেবায় ব্যর্থতার অভিযোগে পুরভবনের সামনে তৃণমূলের বিক্ষোভ চলতে থাকে। পরে পুরসভায় বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের দেবপ্রসাদ মণ্ডল দাবি করেন, “বেলা সাড়ে ১১টায় বৈঠক হবে বলেও এক ঘণ্টা পরে বাম কাউন্সিলরেরা বৈঠক শুরু করায় আমরা যোগ দিইনি।” উপপুরপ্রধান নারায়ণ প্রামাণিকের দাবি, “আমাদের এক ঘণ্টা অন্যত্র আটকে রেখেছিল তৃণমূলের লোকেরাই। আমরা পরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বৈঠক করেছি।” অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতির বক্তব্য, “হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই বৈঠকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেছি। পুলিশ তল্লাশি করেও কোনও অস্ত্র বা দুষ্কৃতীকে পায়নি।” |
|
|
|
|
|