টুকরো খবর |
বিদ্যুৎকর্মীদের আটকে বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
ট্রান্সফর্মার বদলের দাবিতে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের আটক করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। ট্রান্সফরমার বিকল হওয়ায় বৃহস্পতিবার অন্ধকারে ডুবে ছিল সুতাহাটার টাবাখালি গ্রাম। শুক্রবার সকালে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা ট্রান্সর্ফমার সারাইয়ের জন্য আসেন। কিন্তু তাঁরা ট্রান্সফর্মারটি বদলাতে হবে বলে চলে যেতে চাইলে গ্রামবাসীরা স্থানীয় একটি ক্লাবে আটকে রাখেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, মাস চারেক আগে গ্রামের বিপিএলের কোটায় লাগানো একটি ট্রান্সফর্মার পুড়ে যায়। এরপর এলাকারই অন্য একটি পুরনো ট্রান্সফর্মার দিয়ে ওই গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছিল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বহু বার জানিয়েও ট্রান্সফর্মারটি মেরামত হয়নি। বৃহস্পতিবারও বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরের শাখা অফিসে গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। এর পরে সন্ধ্যায় ফের বিকল্প ট্রান্সফর্মারটিও পুড়ে গেলে অন্ধকারে ডুবে যায় গোটা গ্রাম। এ দিন সকালে গ্রামবাসীদের অভিযোগে এলাকায় ট্রান্সফর্মার সারাই করতে আসেন দফতরের চার কর্মী। ট্রান্সফর্মার দেখেই তা বদল করতে হবে বলে তাঁরা চলে যেতে চাইলে গ্রামের লোকেরা ঘিরে ধরে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এভাবেই বহু বার বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা এসে দেখে গেলেও সারাই হয়নি বিপিএলের ট্রান্সফর্মার। বিক্ষোভরত হাবিবুল খান, পীযূষ পাঠকরা অন্তত একটি ট্রান্সফর্মার বদলের দাবি জানান। বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরের চৈতন্যপুর শাখা অফিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ইমন চক্রবর্তী বলেন, “আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।”
|
ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ শেষ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আজ, শনিবার ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ শেষ হবে। প্রশিক্ষণ শেষে তাঁদের সকলকে সাম্মানিক দেওয়ার রীতি ছিল এত দিন। শুক্রবার রিটার্নিং অফিসার অর্থাৎ বিডিও-দের জানিয়ে দেওয়া হল প্রশিক্ষণ শেষে ভোটকর্মীদের সাম্মানিক দেওয়া যাবে না। তা দেওয়া হবে ‘ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার’ থেকে। যেখান থেকে ভোটকর্মীরা ভোটের যাবতীয় নথি নিয়ে ভোটগণনা কেন্দ্রে চলে যান। ২ জুলাই ভোট হওয়ার কথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। ভোট হওয়ার এগারো দিন আগে কোথাও মৌখিক ভাবে আবার কোথাও এসএমএস-এ এমনই নির্দেশ এল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। রাজ্য থেকেও কোনও লিখিত নির্দেশ আসেনি বলে খবর। তা জানার পরেই আদৌ যথা সময়ে ভোট হবে কিনা তা নিয়ে ফের সংশয় দেখা দিল। প্রতিটি বুথে এ বার পাঁচ জন করে ভোটকর্মী থাকার কথা। |
|
পুলিশি পাহাড়ায় চলছে বুথ অনুযায়ী ব্যালট সাজিয়ে নেওয়ার কাজ।
মেদিনীপুর ব্লক অফিসে তোলা নিজস্ব চিত্র। |
একজন প্রিসাইডিং অফিসার, বাকি চার জন পোলিং অফিসার। প্রিসাইডিং অফিসারের সাম্মানিক ১৪৫০ টাকা। প্রথম পোলিং অফিসারের ৮০০ টাকা, দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ পোলিং অফিসারের সাম্মানিক ৬২৫ টাকা করে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ভোটকর্মী প্রয়োজন ২৩ হাজার ৭৩৫ জন। সঙ্গে ১০ শতাংশ অতিরিক্ত ভোটকর্মী রাখা হয়। যার পরিমাণ ২ হাজার ৩৭৪ জন। সব মিলিয়ে ২৬ হাজার ১০৯ জনকে ভোটকর্মী হিসাবে কাজের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। পতাকা ছেঁড়া। তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে লাগানো ফ্লেক্স, পতাকা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে হলদিয়ার দুর্গাচকের ওই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল।
|
কেশপুরে অস্ত্র-সহ ধৃত ৩ তৃণমূল সমর্থক
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে কেশপুরের গোটগেড়িয়া থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে একটি বন্দুক এবং চারটি গুলি পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবার ধৃতদের মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হলে ২৯ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজত হয়েছে তাদের। ধৃতদের নাম তাপস মাইতি, বাসুদেব মুখোপাধ্যায় এবং গোপাল দোলুই। তাপস, বাসুদেবের বাড়ি কলাগ্রামে। গোপালের কানপুরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাসুদেবরা এলাকায় তৃণমূল সমর্থক বলেই পরিচিত। তবে মনোনয়ন-পর্ব শেষে তাঁরা বিক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিন জন ধরার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় থানায় গিয়েছিলেন তৃণমূলের কেশপুর ব্লক সভাপতি তপন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “তিন জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে শুনেছি। বিস্তারিত জানি না।” পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোটগেড়িয়ায় সশস্ত্র তিনজনের ঘোরাঘুরির খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল এলাকায় তল্লাশি চালায়। এরপরই ওই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের দাবি, তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে। এ দিকে, বৃহস্পতিবার সকালে শালবনি থানা এলাকার কাশীজোড়ার অস্ত্র-সহ এক সিপিএম সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম কালীপদ মাহাতো। ধৃতের কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তলও উদ্ধার হয়েছে। ভোটের মুখে অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই কালীপদ এলাকায় ঢুকেছিলেন বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
|
পতাকা ছেঁড়া তৃণমূলের
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে লাগানো ফ্লেক্স, পতাকা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে হলদিয়ার দুর্গাচকের ওই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে সুতাহাটা ব্লকের জয়নগরের ৯২ নম্বর বুথের ১৬ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় বেশ কিছু তৃণমূলের পতাকা ও ফ্লেক্স পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। এর পরেই সিপিএমের বিরুদ্ধে পতাকা ও ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়ায় অভিযোগ তোলে তৃণমূল। সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা এ বার ওই এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল প্রার্থী তুষার মাইতির অভিযোগ, “রাতে আমাদের দলের লোকেরা সিপিএম কর্মী অমিত দাস ও নির্মল সর্দারদের এলাকায় ঘুরতে দেখেছেন।” যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সিপিএমের জোনাল সম্পাদক সুদর্শন মান্না দাবি করেন, “আমাদের কর্মীদের প্রচারের পতাকা, ফ্লেক্স লাগাতে দিচ্ছে না তৃণমূল। সেখানে আমাদের কর্মীরা ওদের ফ্লেক্স বা পতাকা ছিঁড়বে তা বিশ্বাস হয় না।”
|
বিক্ষোভে আটক বিডিও
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সন্ত্রাসের অভিযোগ দেখতে গিয়ে তৃণমূলের বিক্ষোভে আটকে পড়লেন সবংয়ের বিডিও কৌশিক চট্টোপাধ্যায় ও ওসি প্রশান্ত পাঠক। বৃহস্পতিবার সবংয়ের একাধিক এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তাঁরা। ভেমুয়ার কাছে পুলিশ একটি নম্বর প্লেটহীন বাইক দেখে আটক করে। তারপরেই তৃণমূল সমর্থকেরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। আটকে পড়েন ওসি ও বিডিও। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বাইকটির নম্বরপ্লেটটি খুলে গিয়েছে। গাড়ির কাগজপত্র রয়েছে। পরে কাগজ দেখালে পুলিশ বাইক ফেরত দেয়। তারপর অবরোধ ওঠে। সবং ব্লক কংগ্রেস সভাপতি অমল পাণ্ডার অভিযোগ, “তৃণমূলের বাইক বাহিনী সন্ত্রাস চালাচ্ছে।” তৃণমূল নেতা অমূল্য মাইতির অভিযোগ, “কংগ্রেসই চারদিকে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে।”
|
কাঁথিতে দীপক
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কাঁথিতে কর্মিসভা করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার। বৃহস্পতিবার কাঁথি টাউন হলে আয়োজিত ওই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দীপকবাবু অভিযোগ করেন, “খাদ্যশস্য উৎপাদনে দেশের প্রথম সারিতে থাকা পশ্চিমবঙ্গ এখন নারী নির্যাতনে প্রথম স্থানে রয়েছে।” এ ছাড়াও কর্মিসভায় বক্তব্য রাখেন সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক কানু সাহু, প্রাক্তন মন্ত্রী চক্রধর মেইকাপ-সহ অন্য নেতৃবৃন্দ। এ দিন দীপকবাবু মারিশদা থানার দুরমুঠেও সভা করেন।
|
কাল বৈঠক ঝাড়গ্রামে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বৃহস্পতিবারই ঘাটাল, মেদিনীপুর, খড়্গপুরএই তিন মহকুমা এলাকার বিডিও, আইসি-ওসিদের নিয়ে বৈঠকে খতিয়ে দেখা হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি। কাল, রবিবার ঝাড়গ্রাম মহকুমার বিডিও, আইসি- ওসিদের নিয়ে বৈঠক হবে। জেলাশাসকের পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার সুপার ভারতী ঘোষ পুলিশ- প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা। |
|