টুকরো খবর
হলদিয়ায় দমকলমন্ত্রী
যাঁরা বলছেন নির্বাচন হবে না, তাঁরাও আমাদের মতোই নির্বাচনের প্রচার চালাচ্ছেন। ধুয়ে মুছে যাওয়ার আশঙ্কাতেই তাঁরা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন মঙ্গলবার শিল্পশহর হলদিয়ায় শিল্প ও অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক আলোচনায় যোগ দিতে এসে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান। শিল্পশহরের কারখানাগুলিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাজ্য দমকল ও ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয় ওই আলোচনা সভা। শিল্পশহরে অধিকাংশই কেমিক্যাল কারখানা হওয়ায় হামেশাই কারখানায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। মাস কয়েক আগেও আইওসি সংলগ্ন এইচএফসি-র পরিত্যক্ত কারখানায় বিদ্যুতের সাব-স্টেশনে আগুন লেগেছিল। তবে, এ দিনের আলোচনায় মূলত নিরাপত্তার দিক, শিল্প সংস্থাগুলির নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার সঙ্গে দমকলের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়। মন্ত্রী জাভেদ খান বলেন, “মানুষের সচেতনতার দিকটি গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আগুন মোকাবিলায় কারখানাগুলির কী ব্যবস্থা রয়েছে, আর আমরা কী ভাবে সাহায্য করতে পারি তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।” সভা চলাকালীন অভিযোগ ওঠে শিল্পশহরের দমকল বিভাগের দুটি পাম্প স্টেশনের কর্মীসংখ্যা যথেষ্ট কম। তা ছাড়া কর্মিসংখ্যা বাড়ানো, যন্ত্রপাতির আধুনিকীকরণ ও আরও বেশি স্থায়ী কর্মী নিয়োগের দাবি ওঠে। দমকলমন্ত্রী বলেন, “ইতিমধ্যেই উন্নিতকরণের প্রক্রিয়া চলছে। হলদিয়া ও রাজ্যের অন্যান্য এলাকার জন্য সরকার ২০০ থেকে ২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে।” আলোচনা সভায় মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দমকলের এডিজি গোপালকৃষ্ণ ভট্টাচার্য, চেম্বার অফ কমার্সের আহ্বায়ক এইচআর এন কে চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।

হলদির জল ঢুকে প্লাবিত কেন্দেমারি
পূর্ণিমার ভরা কোটালে হলদি নদীর লাগোয়া একটি খালের উপর ক্রশ বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হল নন্দীগ্রামের কেন্দেমারি গ্রামের বাছুরমারি খেয়াঘাটের কাছে কিছু এলাকা। মঙ্গলবার দুপুরে নদীর জল ঢুকতে শুরু করে গ্রামে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আশপাশের বাড়িতে জল ঢুকতে শুরু করে। জলের তলায় চলে যায় আমনের বীজতলা। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাছুরমারি খেয়াঘাটের কাছে হলদি নদীর সঙ্গে যুক্ত খালের উপর একটি স্লুইস গেট তৈরির কাজ করছে সেচ দফতর। সেই কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। ওই নির্মীয়মান স্লুইস গেটের সামনে নদীর দিকে ক্রশ বাঁধ তৈরি করছিল সেচ দফতর। এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ ভরা কোটালের প্রবল স্রোতের চাপে ওই ক্রশ বাঁধের একাংশ ভেঙে কেন্দেমারি গ্রামের ভিতরে জল ঢুকতে শুরু করে। খবর পেয়ে এলাকায় যান নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আবু তাহের। তিনি বলেন, “প্রায় ৬০টি বাড়ি জলমগ্ন হয়েছে। কাঁচা বাড়িগুলি ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই সব বাড়ির বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাতে ফের জোয়ারের জল ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে। ওই এলাকার বাঁধ দ্রুত মেরামতির জন্য এদিনই সেচ দফতরকে জানানো হয়েছে।” বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন সেচ দফতরের কাঁথি ডিভিশনের নির্বাহী বাস্তুকার স্বপন পণ্ডিত।

ঝাড়খণ্ডী কর্মীরা জেল হাজতে
ধৃত ঝাড়খণ্ড পার্টির (নরেন) দুই কর্মী প্রধান মুর্মু ও জগৎ মুর্মুকে চোদ্দ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিল ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালত। সোমবার বিনপুর থানার এড়গোদা অঞ্চলের মেদিনী গ্রামে তৃণমূলের দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। চুনারাম টুডু নামে এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে ঝাড়খণ্ডীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার বিকেলে এড়গোদা পঞ্চায়েতের ঝাড়খণ্ডী সদস্য প্রধান মুর্মু ও ঝাড়খণ্ড পার্টির (নরেন) কর্মী জগৎ মুর্মুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে বেআইনি অস্ত্র মজুত রাখার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধানবাবু ও জগৎবাবুকে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হলে চোদ্দ দিন জেল হাজতের নির্দেশ হয়। ঝাড়খণ্ড পার্টির (নরেন) নেত্রী চুনিবালা হাঁসদার অভিযোগ, “ মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদার নির্দেশে আমাদের দলীয় কর্মীদের জেলবন্দি করে রাখতে মিথ্যা অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।” সুকুমারবাবুর পাল্টা অভিযোগ, “এড়গোদা অঞ্চলে ঝাড়খণ্ডীরা সন্ত্রাস সৃষ্টি করে আমাদের কর্মীদের প্রচারে বাধা দিচ্ছে।”

বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
ঝুলন্ত অবস্থায় বধূর দেহ উদ্ধার হল হলদিয়ার দুর্গাচকের নিউ কলোনী থেকে। মৃতার নাম দীপিকা গাদি (২২)। মৃতার বাড়ি বর্ধমানে। এক বছর আগে বর্ধমানেরই সুশান্ত গাদির সঙ্গে বিয়ে হয় দীপিকার। বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে অশান্তি চলছিল। পরিস্থিতি বিবাহ বিচ্ছেদের জায়গায় পৌঁছয়। তার আগে দু’জনের মধ্যে যদি মীমাংসা করা যায়, সে জন্য বাপের বাড়ির লোকেরা দীপিকাকে দিন চারেক আগে হলদিয়ায় পাঠান। এ দিন রাতে সুশান্ত কাজ থেকে ভাড়াবাড়িতে ফিরলে দীপিকার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বলে দাবি। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছয়। সোমবার রাতে দুর্গাচক থানার পুলিশ দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তে পাঠায়।

এগরায় চুরি
এগরায় পরপর দোকানঘরে চুরি।—নিজস্ব চিত্র।
রাতের অন্ধকারে এগরা শহরের মার্কেট কমপ্লেক্সের এগারোটি দোকানে বড়সড় চুরির ঘটনা ঘটল। সোমবার রাতের ওই ঘটনায় সোনা ও নগদ টাকা মিলিয়ে বেশ কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী খোওয়া গিয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের দাবি। মঙ্গলবার সকালে তাঁরা দোকান খুলতে এলে চুরির বিষয়টি নজরে আসে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কমপ্লেক্সের নৈশপ্রহরী গৌরহরি বেরাকে আটক করেছে। কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী রাধামোহন গিরি, উত্তম দেবনাথ, প্রণব নায়কদের ক্ষোভ, দোকানের নিরাপত্তার জন্য নিয়মিত কমপ্লেক্সের মালিককে টাকা দিলেও মাত্র একজন নিরাপত্তারক্ষী রাখা হয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.