|
|
|
|
হদিস নেই ব্যবসায়ীর, পুলিশি ভূমিকায় ক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
দু’মাসের বেশি কেটে গেলেও সেবক রোডের নিখোঁজ তরুণ ব্যবসায়ী অনুজ অগ্রবালের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাই অনুজবাবু ও তাঁর এলাকার বাসিন্দাদের অনেকে পুলিশি ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। অনুজের বাবা নরেশবাবু ও মা সন্তোষীদেবী পুলিশের ভূমিকায় হতাশ। পরিবারের তরফে বহুবার পুলিশের কাছে খোঁজ নেওয়া হয়েছে। কাজ কিছু হয়নি। পুলিশ অনুজের পরিবারকে বারবারই বলেছে কোনও সূত্র পাওয়া যায়নি। তা হলে পুলিশ করছেটা কি সেই প্রশ্নে ফুঁসছেন পরিবারের সকলে। বিশেষত, শিলিগুড়ি থানার পুলিশের তরফে নিখোঁজদের সন্ধান দেওয়ার মতো পরিকাঠামো ও দক্ষতা রয়েছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গত ৬ মাসে প্রায় ১০ টিরও বেশি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে শিলিগুড়ি থানায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুলিশ কোনও সুরাহা করতে পারেনি। অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের লোকজনকেই উদ্যোগী হতে হয়েছে। চার্চ রোডের দুই ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগের পরেও পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ দেখা দেয়। অভিযোগ, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট হলেও আদতে তদন্তের মানের অবনতি হয়েছে। এমনকী, গত ছ’মাসে শিলিগুড়ি থানায় কতগুলি মিসিং ডায়েরি হয়েছে সেই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইসি বিকাশকান্তি দে কোনও তথ্য দিতে পারেননি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা থানায় অপেক্ষা করানোর পরে তিনি জানান, ওই তথ্য তিনি দিতে পারবেন না। ঘটনা হল, নিখোঁজ সংক্রান্ত তথ্য-পরিসংখ্যান দিতে পারেননি শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কে জয়রামনও। তিনি বলেন, “এ ধরনের তথ্য-পরিসংখ্যান এখন দিতে পারব না। একটু সময় লাগবে।” অথচ পুলিশ কমিশনারেট উদ্বোধনের পরে রাজ্য পুলিশের ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সব থানায় সব তথ্য মিলবে। তথ্য চাইলে কমিশনারেটের ওয়েবসাইটে মিলবে। ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের দাবি, আনন্দ কুমার যখন পুলিশ কমিশনার ছিলেন, সেই সময়ে ওয়েবসাইটে নিখোঁজ সংক্রান্ত তথ্য-পরিসংখ্যান নিয়মিত দেওয়া হতো। ইদানীং সেখানে অনেক সাম্প্রতিক তথ্য-পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। নর্থ বেঙ্গল মোটর্স ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি বিনয় গুলাটি বলেন, “আরও ভালভাবে খুঁজলে কোনও সূত্র নিশ্চয়ই পাওয়া যেত।”
|
পুরনো খবর: সাতদিন ধরে খোঁজ মেলেনি ব্যবসায়ী পুত্রের |
|
|
|
|
|