|
|
|
|
হিলকার্ট রোড অবরোধ |
কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
টানা দু’ঘণ্টা পথ অবরোধের কারণে কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশের তরফে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার হিলকার্ট রোডে বিক্ষোভ ও পথ অবরোধ করে কংগ্রেস। নাজেহাল হতে হয় ছাত্রছাত্রী-সহ নিত্যযাত্রীদের। সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কারণেই পুলিশের তরফে মামলা করা হয়েছে। ওইদিনের পথ অবরোধের ঘটনার নেতৃত্ব দেন দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সভাপতি (সমতল) শঙ্কর মালাকার। উপস্থিত থাকা কংগ্রেস সমর্থকদের নামে মামলা করা হয়েছে। একদিকে মামলা পাশাপাশি বৃহস্পতিবার জংশন এলাকায় তৈরি হওয়া কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় সরকারি জমি দখল করে তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে ৩ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি।
প্রাইভেট ট্যাক্সি ও সরকারি নম্বরের ট্যাক্সি চলাচল নিয়ে বচসায় শিলিগুড়ি কাঁকড়ভিটা ট্যাক্সি স্ট্যান্ড ড্রাইভার্স ওনার্স ইউনিট এর দুই সদস্যকে গ্রেফতার ও ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে কংগ্রেস। এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার টানা দু’ঘণ্টা পথ অবরোধ করে কংগ্রেস। ওই অবরোধে অন্তত ১ হাজার ছাত্রছাত্রী আটকে পড়ে বলে অভিযোগ। স্কুল ফেরত পড়ুয়ারা অনেকে দীর্ঘ সময় বাসে আটকে থেকে কান্নায় ভেঙে পড়ে। তাতেও অবরোধকারী নেতাদের একাংশের মন গলেনি। কংগ্রেসের একাংশ পড়ুয়াদের দুর্দশা দেখে অবরোধ তোলার পক্ষে মত দিলেও অন্যপক্ষ রাজি হননি বলে দলীয় সূত্রের খবর। পাশাপাশি, পুলিশও দীর্ঘ সময় ধরে পড়ুয়াদের হেনস্থা দাঁনিয়ে দেখল কেন তা নিয়েও অভিভাবক মহলে প্রশ্ন ওঠে। প্রচন্ড গরমে প্রায় দু’ঘণ্টা বাসে আটকে কচিকাঁচাদের কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে কী হত সেই প্রশ্নে ক্ষোভ দেখা দেয় শহরে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে কংগ্রেসের কয়েকজনের নামে মামলা করা হয়। এ বিষয়ে শঙ্করবাবু বলেন, “আমরা রাজনীতি করি , মানুষের দাবি নিয়ে কাজ করতে হয়। তাই আমাদের নামে মামলা করতে পারে। আর এই সরকার মামলা ছাড়া আর কি করতে পারে আমাদের বিরুদ্ধে?” কিন্তু, আন্দোলনের নামে দীর্ঘ সময় ছোট শিশুদের স্কুল বাস আটকে রাখাটা যুক্তিযুক্ত কি না সেই প্রশ্নে শঙ্করবাবুর বক্তব্য, “আমি তো অবরোধ তোলাতে গিয়েছিলাম।”
এই ঘটনার পরে কংগ্রেস নেতাদের একাংশের ভূমিকা নিয়ে শহরের নানা মহলে সমালোচনার ঝড় বইছে। শহরবাসীদের একাংশের বক্তব্য, পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বে অভিযোগ তোলার জন্য কমিশনারের অফিসে গিয়ে প্রতিবাদ না জানিয়ে ছাত্রছাত্রী ও নিত্যযাত্রীদের হয়রান করার অধিকার কোনও রাজনৈতিক দলের নেই। কংগ্রেসের জেলা নেতাদের কয়েকজন জানান, তাঁরাও গোটা ঘটনায় দুঃকিত। কারণ, কংগ্রেস নেতাদের কয়েকজনের পরিবারের শিশু-কিশোর পড়ুয়ারাও ওই অবরোধে আটকে নাকাল হয়েছে।
এ দিন তৃণমূল নেতারা প্রশ্ন করেন, শিলিগুড়ি পুর এলাকায় থাকা সরকারি জমিতে কিভাবে দলীয় কার্যালয় তৈরি করল? সেই প্রশ্নে পুরসভায় বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। স্থানীয় নেতা গোপাল সাহা বলেন, “সরকারি জমিতে দলীয় কার্যালয় বানিয়েছে কংগ্রেস। দ্রুত তা ভেঙে দেওয়ার দাবি করছি।” এ ছাড়াও ওই এলাকায় একটি বেআইনি ট্র্যাভেল এজেন্সি খুলে ব্যবসা করছে কংগ্রেস এমনটাই অভিযোগ করেন তাঁরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন পুর কমিশনার প্রভুদত্ত ডেভিড প্রধান। এই অভিযোগ মানতে নারাজ মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। তিনি বলেন, “তৃণমূলের আগে নিজেদের অফিসগুলি দেখা উচিত। কিভাবে তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় দলীয় কার্যালয় তৈরি করেছে।”
|
পুরনো খবর: অবরোধে কংগ্রেস, যানজট শিলিগুড়িতে |
|
|
|
|
|