|
|
|
|
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ন্ত্রণে তথ্যচিত্র প্রশাসনের |
অনির্বাণ রায় • জলপাইগুড়ি |
ভোট কেন্দ্রে হঠাৎ শোরগোল। এক ব্যক্তি ভোট দিতে এসে জানতে পেরেছেন, তাঁর ভোট আগেই পড়ে গিয়েছে। ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তিনি। ভোট না দিয়ে কিছুতেই যাবেন না। থমকে গিয়েছে ভোটগ্রহণ। বাইরে লাইনে দাঁড়ানো ভোটাররাও দেরি দেখে চেঁচামেচি জুড়েছেন। ভোট নেওয়া শেষে হিসেব মেলাতে গিয়ে দেখা গেল, সংখ্যার হিসেবে একটি ভোট কম পড়েছে। শুনেই হামলে পড়লেন বিভিন্ন দলের এজেন্টরা। এমন নানা ভোট সংক্রান্ত সমস্যা ও সমাধান নিয়ে তৈরি হয়েছে ৪০ মিনিটের তথ্যচিত্র। ভোট চলাকালীন সমস্যা হলে প্রিসাইডিং অফিসার বা ভোট কর্মীকে কী করতে হবে তা রয়েছে তথ্যচিত্রে। গল্পের মোড়কে লেখা হয়েছে চিত্রনাট্য। ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে তথ্যচিত্র তৈরি করে জেলা প্রশাসন।
ভোটের আগের দিন ভোট সরঞ্জাম সংগ্রহ কেন্দ্রে অপরিচিত ৫ কর্মীর এক সঙ্গে হওয়া, তাদের নিজেদের মধ্যে পরিচয় পর্বের পরে ভোট কেন্দ্রে রওনা হওয়ার দৃশ্য দিয়ে তথ্যচিত্রের শুরু। আগের রাতে ভোট কেন্দ্রে থাকার পরে সকালে ভোট গ্রহণ পর্ব, সেখানে ভুয়ো ভোটার, থেকে জাল ভোট পড়া, এজেন্ট থেকে শুরু পরিচয়পত্র না আনা ভোটার, বয়স্ক ভোটার, পাড়ার মস্তান সব চরিত্রই উপস্থিত হবেন তথ্যচিত্রে। ভোট গ্রহণ সেরে ভোট সরঞ্জাম জমা করার পরে কর্মীদের বাড়ি ফেরার দৃশ্য দিয়ে শেষ হবে তথ্যচিত্রটি। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, নাগাড়ে নির্দেশ ব্যাখা্যা করে যাওয়ায় বহু ভোটকর্মীই প্রশিক্ষণের সময় উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। অমনোযোগী হয়ে কোনও গুরুত্বপুর্ণ নির্দেশ শুনতে ভুল করে ফেলেন। সে কারণেই গল্পের মোড়কে তথ্যচিত্র তৈরি করে কর্মীদের সহজেই ভোট সংক্রান্ত নির্দেশ বুঝিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। জলপাইগুড়ির জেলা শাসক স্মারকী মহাপাত্র বলেন, “সব সময়ে শুধু কথার থেকে তথ্যচিত্র বেশি গ্রহণযোগ্য এবং সহজবোধ্য। সে কথা মাথায় রেখেই এই চিন্তাভাবনা শুরু করেছি। চিত্রনাট্যও তৈরি করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে কর্মী প্রশিক্ষণে তথ্যচিত্র দেখানোর ব্যবস্থা করা হবে।” জেলাশাসক দফতর সংলগ্ন একটি সরকারি ভবনে তথ্যচিত্রের শুটিং হয়। স্থানীয় কুশলীরা অভিনয় করেন। ২৫টি চরিত্রের মধ্যে কয়েকটিতে অভিনয়ে দেখা যাবে সরকারি কর্মীদেরও। জেলা শাসক দফতরের এক জন কর্মী মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য এই তথ্যচিত্রটির চিত্রনাট্য লিখেছেন। তাঁর কথায়, “এতে ২৫টি চরিত্র রয়েছেন। মূল চরিত্রগুলিতে পেশাদার অভিনেতা নেওয়া হয়েছে। কয়েক জন সরকারি কর্মীও রয়েছেন। ভোটকর্মীদের যাতে সহজে নির্দেশ বুঝতে সুবিধে হয় সে কথা মাথায় রেখে চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে।” ভোট সংক্রান্ত নির্দেশিকার সিডি করে ভোট কর্মীদের মধ্যে বিলি করা সম্ভব কি না তাও খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। |
|
|
|
|
|