বাজেট পেশ করেও তা অনুমোদন হওয়া নিয়ে বিতর্ক চলছেই। বাজেট অধিবেশনে যিনি চেয়ারম্যান পদে ছিলেন, সেই নান্টু পালের কাউন্সিলর পদ খারিজ হতেই নতুন করে বাজেট পেশ করে তা পাস করাতে তৎপর হল কংগ্রেস। দলীয় সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে আগামী ২৭ জুন শিলিগুড়ি পুরসভার চলতি বছরের বাজেট ফের পেশ করতে চাইছে মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। ২৯ জুন বাজেট নিয়ে আলোচনা হবে। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির পুরসভার মেয়র ও মেয়র পারিষদদের বৈঠকের পর এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেয়র বলেন, “পুরসভার কাজকর্ম ঠিক রাখতে বাজেট খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই দ্রুত বাজেট সভা ডাকা হচ্ছে।” তৃণমূল বিরোধিতায় থাকায় বাজেট পাশ করানো নিয়ে অবশ্য চিন্তায় রয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁরা বামেরা কী ভূমিকা নেন সে দিকেই লক্ষ্য রাখছেন।
ডেপুটি মেয়র সবিতা অগ্রবাল জানান, তাঁরা সব দলকেই শহরের উন্নয়নের স্বার্থে বাজেট সমর্থনের অনুরোধ করবেন। তিনি বলেন, ‘‘২৭ জুন বাজেট পেশ করা হবে। আমরা সমস্ত কাউন্সিলরকে শহরবাসীর স্বার্থে সভায় উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করছি।” এ বিষয়ে বিরোধী দলনেতা সিপিএমের নুরুল ইসলাম বলেন, “বাজেট প্রস্তাব না দেখে কী করে সমর্থনের কথা বলব?” অন্যদিকে তৃণমূলের তরফে দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের মহাসচিব কৃষ্ণ পাল বলেন, “পুরসভা থেকে মেয়র অপসারিত হয়েছেন, তাই কোন ভাবেই বাজেট পেশ করা যায় না। কংগ্রেস অসংবিধানিক কাজের চেষ্টা করছে।”
কংগ্রেস সূত্রের খবর, পুরসভায় কাজের স্বাভাবিক ছন্দ ফেরাতে বাজেট পাশের বিষয়টিতেই বেশি জোর দিয়েছে কংগ্রেস শিবির। গত বুধবার নান্টু পাল সম্পর্কিত বিভাগীয় কমিশনারের রিপোর্ট পুরসভায় পৌঁছাতেই এ মাসেই বাজেট বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তৃণমূলের কৃষ্ণবাবু বলেন, “মাত্র ১৪ জন কাউন্সিলর নিয়ে কীভাবে বাজেট পেশ করবে কংগ্রেস। পাশাপাশি, বাজেট পেশ করতে হলে রাজ্য সরকারের অনুমতি নিতে হয়। তা কি নিয়েছেন তা আমাদের কী না জানা নেই।” পুরসভার চলা অচলাবস্থা কাটানোর দাবি তুলেছেন বামেরা। চলতি আর্থিক বছরের বাজেট পাশ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কংগ্রেসি মেয়র এর আগে একদফা বাজেট পাশ করে তা পাশ হয়েছে বলে দাবি করলেও তৃণমূলের তরফে আপত্তি করা হয়। তার জেরে রাজ্য সরকারের তরফে পুরসভার ১৬টি জরুরি পরিষেবার তালিকা সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ জুন। তার পরে নিয়ম অনুযায়ী পুর কমিশনার রাজ্য সরকারকে বিষয়টি জানিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা জানতে চাইবেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে হবে পুর কর্তৃপক্ষকে। এই অবস্থায় নান্টু পালের বিতর্ক মিটতেই ফের নতুন করে বাজেট পাশ করানো নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে কংগ্রেস।
|