গল্প জমিয়ে কেপমারি, এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দলে রয়েছে তিন থেকে চার জন। ওদের কাজ ব্যাঙ্কে আসা গ্রাহকদের সঙ্গে যেচে ভাব জমিয়ে অন্যমনস্ক করে দেওয়া। এর পরে টাকার ব্যাগ হাতিয়ে মুহূর্তে বেপাত্তা হয়ে যাওয়া। ওদের লক্ষ মূলত ব্যাঙ্কে আসা একা কোনও বয়স্ক ব্যক্তি বা মহিলা।
গত কয়েক মাসে তিন-চার জনের এই কেপমারের দল কার্যত হাওড়া সিটি পুলিশের চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। তিন মাসে শহরে তিনটি বড় কেপমারির ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রথমটি ঘটে ৯ মার্চ। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সাঁতরাগাছি শাখায় এ ভাবে এক বয়স্ক ব্যক্তির ব্যাগে রাখা ৭৫ হাজার টাকা কেপমারি করে দলটি। পরের ঘটনা ১৭ মে। ওই ব্যাঙ্কেরই জগাছা শাখায় এক গ্রাহকের থেকে ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে চম্পট দেয়। শেষ ঘটনাটি ঘটে ১৫ জুন। অন্য একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লিলুয়া শাখা থেকে এক মহিলা ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা তুলছেন দেখে তাঁর সঙ্গে কথা বলে ভাব জমায় কেপমারদের এক জন। অন্য জন টাকার ব্যাগ হাতিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছে, একটিই চক্র এ কাজ করছে। কেপমারদের ছবিও মিলেছে। হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (সদর) নিশাত পারভেজ বলেন, “কেপমারদের দলটির ছবি দেখে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। অন্যান্য ব্যাঙ্ককেও সতর্ক করেছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই দলটি ধরা পড়বে।”
এ দিকে, কেপমারি হওয়া মোবাইল-সহ বৃহস্পতিবার এক যুবক গ্রেফতার হয়। ধৃত সন্তোষকুমার ঝা ওরফে স্যান্ডির বাড়ি হাওড়ায়। পুলিশ জানায়, ব্যাঙ্কে টাকা রাখবে বলে স্যান্ডি শুক্লা রায় নামে এক ব্যাঙ্ক-কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। শুক্লাদেবী তাকে ব্যাঙ্কে আসতে বলেন। স্যান্ডি ব্যাঙ্কে এসে জানায়, তার বাবা টাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে। তাঁকে ফোন করতে হবে। মোবাইলে চার্জ না থাকায় সে শুক্লাদেবীর ফোন চায়। পুলিশ জানায়, ফোন নিয়ে বেপাত্তা হয় স্যান্ডি। এ দিন বাড়ি থেকে ধরা পড়ে সে।
|