সারাই হয়নি সেতু, ক্ষোভ মাজুতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জগৎবল্লভপুর |
ভাঙা সেতু নিয়ে জেরবার হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের মাজু গ্রাম। বছর চারেক আগে সিমেন্টের সেতুর মাঝখানে চাঙড় ধসে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় গর্ত। যে কোনও সময় বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয় কানা দামোদর নদীর উপর উপর সন্তোষবাটী-উত্তর মাজু গ্রামের সংযোগকারী সেতুটি তৈরি হয়েছিল ষাটের দশকের শেষ দিকে। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেতুটি লম্বায় প্রায় ৭০ ফুট ও চওড়ায় ৯ ফুট। ওই সেতুর উপরেই নির্ভরশীল মৌলগাছি, সন্তোষবাটি, যাদববাটি, ফিঙেগাছি, মধ্য মাজু-সহ আটটি গ্রামের মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রণতি সাধুখাঁ, বিশ্বজিৎ রানা, বাপ্পা সাধুখাঁ, সুকুমার সামন্তেরা বলেন, “ওই সেতু দিয়ে প্রতিদিনই এলাকার স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াত করতে হয়। রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ারও একমাত্র উপায় ওই সেতু। কিন্তু অবস্থা এতটাই খারাপ যে, ওই সেতু দিয়ে চার চাকার কোনও গাড়ি তো দূরের কথা, জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুল্যান্সও যেতে পারে না। সেতুটিতে আলো না থাকায় রাতের অন্ধকারে পায়ে হেঁটে পারাপারের সময়েও দুর্ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয় মাজু পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান কংগ্রেসের নীলোৎপল কর বলেন, “সেতু মেরামতের জন্য সেচ দফতর ও জেলা পরিষদকে জানানো হয়েছে।” হাওড়া জেলা পরিষদের বিদায়ী পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আনন্দ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সেতুটি মেরামতের জন্য সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের দিন ঠিক হয়ে যাওয়ায় জেলা পরিষদ থেকে টাকা বরাদ্দ করা যাচ্ছে না।” ব্লক সেচ দফতরের পক্ষ থেকে মেরামতির জন্য মাটি পরীক্ষার বিষয়ে উদ্যোগী হবে বলে জানানো হয়েছে।
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। সেতুটি মেরামতির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে সব দল। কিন্তু ভোট মেটার পর সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হবে তো? এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে মাজু গ্রামের বাতাসে।
|