কংগ্রেস প্রার্থীর স্ত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুড়শুড়া |
বৃহস্পতিবার সকালে পুড়শুড়ার হাটি গ্রামে কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত প্রার্থীর বাড়িতে ঢুকে স্ত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। তাঁর কিশোরী মেয়েকে মোটর বাইকে তুলে পালানোর চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। যা অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।
স্থানীয় শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই প্রার্থী উজ্জ্বল কোটালের অভিযোগ, তিনি ভোটে দাঁড়ানোয় গ্রামের তৃণমূল নেতা প্রকাশ কোটাল ও তাঁর দলবল কয়েক দিন ধরেই হুমকি দিচ্ছিল। প্রার্থিপদ তুলে নেওয়ার জন্য আগে চাপও দেওয়া হয়।
উজ্জ্বলবাবুর দাবি, তারই জেরে এ দিন সকালে প্রকাশ কোটাল দলবল নিয়ে ঘরে ঢুকে তাঁকে মারধর করে। স্ত্রী বাধা দিতে এলে তাঁর পোশাক ছিঁড়ে শরীরে লাঠির খোঁচা দেয়।
কংগ্রেস প্রার্থীর মেয়ে পড়ে দশম শ্রেণিতে। তাকে মোটর বাইকে জোর করে তুলে নিয়ে পালানোর চেষ্টার করেছিল হামলাকারীরা। তবে প্রতিবেশীরা বাধা দেন। উজ্জ্বলবাবু পুড়শুড়া থানায় প্রকাশ-সহ ১০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
আরামবাগ মহকুমার কংগ্রেস সভাপতি তথা পুড়শুড়ার নেতা অষ্ট বেরা বলেন, “সিপিএমের সন্ত্রাসকেও ছাপিয়ে গেছে তৃণমূল। অতীতে আমি তৃণমূলে থাকাকালীন সিপিএমের বিরুদ্ধে কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে লড়াই করেছি। আমার পুরনো সহকর্মীদের তাই সতর্ক করে দিচ্ছি, এমন চলতে থাকলে হাত গুটিয়ে বসে থাকব না। সমুচিত জবাব দেব।”
অন্য দিকে, পুড়শুড়ার তৃণমূল ব্লক সভাপতি জয়দেব জানা বলেন, “মিথ্য অভিযোগে অশান্তি বাধাতে চাইছে কংগ্রেস। ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। পাশের সমসপুর গ্রামের একটি রাস্তা ব্যবহারকে কেন্দ্র করে উজ্জ্বল কোটালের সঙ্গে ওই গ্রামের লোকের ঝামেলা হয়েছে। আমাদের দলের কেউ তাতে কোনও ভাবে যুক্ত নয়।”
অন্য একটি ঘটনায়, বুধবার রাতে আরামবাগের রতনপুরে পঞ্চায়েত সমিতির নির্দল প্রার্থী নন্দ হালদারকে রাস্তায় ঘিরে মারধর, মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত তৃণমূলের সঞ্জয় মণ্ডল ও হারু সর্দার-সহ কয়েক জন। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
ওই রাতেই আরামবাগের রামনগর কোলেপুকুরে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রচারের তৃণমূল প্রার্থীদের বেশ কিছু ফেস্টুন পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। সব ক্ষেত্রেই তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। |