কানা দামোদরের উপরে আংশিক ভেঙে পড়া সেতুটি এখনও মেরামত হয়নি। ফলে সমস্যায় পড়েছেন অন্তত ১০টি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা। সেতুটি অবস্থিত জগৎবল্লভপুরের মাজু পঞ্চায়েত এলাকার সন্তোষবাটি গ্রামে। এখানে কানা দামোদরের উপরে পাঁচ বছর আগে কংক্রিটের সেতুটির মাঝখানের বেশ কিছুটা অংশ ভেঙে পড়ে যায়। এর পরে সেই ভাঙন বেড়ে প্রায় তিন ফুটের একটি গর্ত তৈরি হয়েছে। ভাঙা এই সেতুটির উপর দিয়েই সন্তোষবাটি, চংঘুরালি, মাড়ঘুরালি, ফিঙেগাছি, উত্তর মাজু, মাজু প্রভৃতি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা প্রতিদিন যাতায়াত করেন। ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে স্কুল পড়ুয়ারাও।
সন্তোষবাটি গ্রামের বাসিন্দা দিলীপকুমার ঘড়া, চন্দ্রনাথ দে-রা বললেন, “বিপজ্জনক এই সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে রাতের অন্ধকারে বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরপরে গ্রামবাসীরা একটি পুরনো লোহার পাত জোগাড় করে গর্তের উপরে বিছিয়ে দিয়েছেন। তার উপর দিয়ে কোনও রকমে যাতায়াত করছি। কিন্তু সামান্য বেসামাল হলেই চোট লাগছে।”
সেতুটি উত্তর মাজু এবং সন্তোষবাটি গ্রাম দু’টিকে যুক্ত করেছে। পারাপারের একমাত্র মাধ্যম এই সেতুর উপর দিয়েই চলাচল করছে সাইকেল, রিকশা, মোটরবাইক ভ্যান-রিকশা। ছোট গাড়িও এই সেতুর উপর দিয়ে পারাপার করছে দেখা গেল।
মাজু অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতি অলিপ খান বলেন, “১৯৭১ সালে ৭০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১০ ফুট চওড়া সেতুটি তৈরি করেছিল জেলা পরিষদ। কিন্তু সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পরে জেলা পরিষদ আর এটির মেরামতির দায়িত্ব নিতে চাইছে না। কী ভাবে এটির মেরামতি হবে তা বুঝতে পারছি না।” জেলা পরিষদের সভাধিপতি মীনা ঘোষমুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “সেতুটি মেরামতির কাজ সেচ দফতর করবে।” সেচ দফতরের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে সেতুটি মেরামতির বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে। |