প্রতিবেশীর ইমারতি দ্রব্য বোঝাই গাড়ি প্রায় দিনই ধাক্কা মারত বাড়িতে। অভিযোগ, বারবার এমন ধাক্কায় ভেঙেচুরে যায় দেওয়াল। বৃহস্পতিবার দুপুরে এর প্রতিবাদ করায় শেখ খাজা আহমেদ (৭০) নামে ওই বাড়ির এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। হাওড়ার বাঁকড়া বাদামতলার নতুন পাড়ার ঘটনা।
ঘটনার পরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয়েরা অভিযুক্তদের বাড়িতে ভাঙচুরও চালান। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ওই পরিবারের সকলে বাড়ি বন্ধ করে পালিয়ে গিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শেখ খাজা আহমেদ ও মহসিন আখন দু’টি পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা। দু’টি পরিবারই বস্ত্র ব্যবসায়ী। বছরখানেক আগে প্রথমে বাড়ি তৈরির ঘটনা ঘিরে দু’টি পরিবারের মধ্যে বিরোধ বাধে। শেখ খাজা আহমেদের ছেলে শেখ মনিরুলের অভিযোগ, “ওরা আমাদের কিছু জায়গা দখল করে বাড়ি তৈরি করেছিল। গায়ের জোর দেখিয়ে ৩ ফুট রাস্তা ছাড়তে বাধ্য করে। সম্প্রতি ওরা ফের বাড়ি তৈরি শুরু করে। ইট, বালি, সিমেন্টের গাড়ি পাশের রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময়ে আমাদের বাড়িতে ইচ্ছাকৃত ভাবে ধাক্কা মারত।” তিনি আরও জানান, এ দিনও তেমনই ঘটে। তখন প্রতিবাদ করতে যান শেখ খাজা আহমেদ। মনিরুলের অভিযোগ, “বাবা প্রতিবাদ করতেই আখন পরিবারের লোকেরা তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে মারতে থাকে। বাবা হার্টের রোগী। মার খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।”
পুলিশ জানায়, শেখ খাজা আহমেদকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এর পরেই পরিবারের লোকেরা ঘটনাস্থলে চলে আসেন। অভিযোগ, ততক্ষণে অবশ্য পালিয়ে গিয়েছে মহসিন আখনের পরিবার। এক স্থানীয় বাসিন্দা শেখ আব্দুল বলেন, “খাজা আহমেদ পরিবারের উপরে আখন পরিবার প্রায়ই অত্যাচার চালাত। আজ প্রতিবাদ করতে গিয়েই এমন ঘটল।” হাওড়ার পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রবীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “অভিযুক্ত ওই পরিবারের কর্তা মহসিন আখন ও তাঁর সাত ছেলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।” |