ডেম্পোর সফল স্টপার রোয়িলসন রডরিগসকে শুক্রবার গোয়া থেকে উড়িয়ে এনে সই করাল মোহনবাগান। আর সেই দিনই চুক্তিবদ্ধ হয়েও হঠাৎ বাতিল হয়ে যাওয়া ফুটবলার স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে ঘিরে শুরু হয়ে গেল নতুন বিতর্ক। তাঁর সুস্থতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল বাগান।
চুক্তি বাতিল এবং বকেয়া টাকা চেয়ে স্নেহাশিসের পাঠানো ‘হুমকি’-র চিঠি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ মোহন কর্তারা পাল্টা চিঠি পাঠালেন দলের মিডিওকে। বলা হল, দলে ঢোকার জন্য শারীরিক পরীক্ষায় বসতে। যা শুনে ইচ্ছাপুর থেকে ফোনে স্নেহাশিস বললেন, “ক্লাবের চিঠি পাইনি। পেলে বলব পরীক্ষা দেব কি না? কিন্তু আমার বকেয়া টাকার কী হল?”
বকেয়া টাকার প্রসঙ্গ ছেড়ে তাঁকে কেন হঠাৎ শারীরিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ক্লাবের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হল তা নিয়ে অবশ্য জল্পনা তুঙ্গে। যা শোনা যাচ্ছে তা যদি সত্যি হয়, তবে স্নেহাশিসের ফুটবলার জীবনই প্রশ্নের মুখে পড়ে যাবে। যেমন হয়েছিল হাবিবুর রহমানের ক্ষেত্রে। ক্লাব সূত্রের খবর, গত দু’বছর নাকি ফিফার গাইড লাইন অনুযায়ী ডাক্তারি পরীক্ষায় পাশই করেননি বাগান মিডিও। তাঁর হৃৎপিন্ডে যে সমস্যা আছে তা দেখে ডাক্তাররা না কি লিখে দিয়েছিলেন, ওকে মাঠে নামানো ঝুঁকির হবে। স্নেহাশিস অবশ্য এটা মানতে চাননি। বললেন, “তা হলে আমি খেললাম কী করে? এই খবরের কোনও সত্যতা নেই।” কিন্তু ক্লাবের ফুটবল কমিটির সঙ্গে যুক্ত এক কর্তা বললেন, “চুক্তি হয়ে গিয়েছিল। টাকাও খরচ হয়ে গিয়েছিল। সে জন্যই রিপোর্টটা বদলে আমরা পাঠিয়েছিলাম ফেডারেশনে। তবে কোচকে বলে দেওয়া হয়েছিল ওকে মাঝেমধ্যে খেলাতে।”
গত দু’বছরে কী হয়েছে তা নিয়ে ক্লাব সচিব অঞ্জন মিত্র কিছু বলতে চাননি। বললেন, “ও তো চুক্তিবদ্ধ। খেলতে চায়। উকিলের মতো বয়ানে চিঠি দিয়ে কেন বাতিল প্রশ্ন তুলেছে। তা হলে ডাক্তারি পরীক্ষা দিয়ে দলে ঢুকুক। ওডাফা-ইচে সবারই তো পরীক্ষা হয়েছে।” কিন্তু বকেয়া টাকা? অঞ্জন বললেন, “টাকা জোগাড়ের চেষ্টা চলছে। দিয়ে দেব।”
স্নেহাশিসের সুস্থতা নিয়ে বিতর্কের দিনে রোয়িলসন অবশ্য উচ্ছ্বসিত বাগানে খেলার সুযোগ পেয়ে। ক্লাব সচিবের বাড়িতে এ দিন সন্ধ্যায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর গত মরসুমে সফল ফুটবলারটি বলছিলেন, “গোয়ার ফুটবলাররা কলকাতায় এসে সাফল্য পায় না এই মিথ যে ঠিক নয় তা প্রমাণ করে দেব। বাংলায় খেলার স্বপ্ন ছিল বলেই মোহনবাগানে এসেছি।”
রোয়িলসন সফল হবেন কি না সময় বলবে। ক্লাব কর্তাদের কাছে বকেয়া চেয়ে চিঠি দিয়ে স্নেহাশিস কিন্তু বড় সমস্যায়।
|